সোমবার, ১৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

পি কে হালদার আটক

পাচারকৃত অর্থ দেশে আনার উদ্যোগ নিন

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচারের ‘অসামান্য কৃতিত্ব’ দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত পার পেলেন না লুটেরাকুল শিরোমণি     পি কে হালদার। এনবিআর গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ওই ব্যবস্থাপনা পরিচালককে গ্রেফতার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এ অভিযান চালায়। এর আগে শুক্রবার পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। ইতোমধ্যে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে দেশটির পুলিশ। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরপরই দেশ থেকে পালিয়ে যান ও নাম বদল করে শিবশঙ্কর হালদার নামে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছিলেন। ভারতে রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ও আধার কার্ড বানিয়ে তিনি ও তার সহযোগীরা সে দেশে আইনগতভাবে থাকার ভিত জোরদারও করেন। পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা জমিদারের মতো ঠাটবাট নিয়ে চলাফেরা করতেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, সুকুমারের বেশ কয়েকটি বাড়ি থাকলেও তাদের সন্দেহ হয়নি। এর কারণ অনেকেই বাংলাদেশ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে এসে পশ্চিম বাংলায় বাড়িঘর তৈরি করেছেন। তারাও তেমনটাই ভেবেছিলেন। কিন্তু এখন জানতে পারছেন বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে তিনি জড়িত। পি কে হালদারের জন্ম পিরোজপুরের এক দরিদ্র পরিবারে। তার বাবা ছিলেন গ্রামের বাজারের একজন দর্জি। তবে তার সন্তান প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদার ছিলেন নিঃসন্দেহে মেধাবী। বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর তিনি তার মেধা ও যোগ্যতাকে দেশ ও জাতির কল্যাণের বদলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ লুটতরাজের জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। দেশ থেকে কয়েক হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যান অবশেষে ধরা পড়েন গোয়েন্দা সংস্থার জালে।  আমরা আশা করব, পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে। তার পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর