রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ

নজরদারি বাড়াতে হবে

আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের নিরন্তর প্রয়াস সত্ত্বেও অপরাধীদের থামানো যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে র‌্যাব-পুলিশের অভিযান। প্রায় প্রতিদিনই গ্রেফতার হচ্ছে নানা অপরাধী।

তবু থেমে নেই অপরাধ। পুলিশের গত ছয় মাসের তদন্তে উঠে এসেছে, বর্তমানে সড়ক-মহাসড়ক এমনকি বাসাবাড়িতেও ডাকাতি বেড়েছে। মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের মতো অপরাধ উদ্বেগে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে আরও সতর্ক থাকতে সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে সদর দফতর। ঢাকা মহানগর পুলিশের ৫০ থানার ওসিকে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত চুরি সংঘটিত হয়েছে ১ হাজার ১৬৫টি, ডাকাতি ও ছিনতাই ৮৫টি। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ পুলিশ সদস্য। এ সময় অস্ত্র উদ্ধার মামলা হয়েছে ৪৫টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৪০টি। রাজধানীসহ সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় প্রয়াস সত্ত্বেও অপরাধ কর্মকান্ড পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কেন তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুনিয়াজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তার প্রভাব পড়ছে দেশের আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে। অর্থাভাবে অনেকে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে। অপরাধীদের তালিকা তৈরি করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর বিষয়টিও প্রাসঙ্গিক। আইনশৃঙ্খলার ওপর সরকারের জনপ্রিয়তা অনেকাংশে নির্ভরশীল। নিজেদের সুনামের স্বার্থে এ ব্যাপারে দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর