শিরোনাম
শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কচুর লতি

কচুর লতি

এই গরম মৌসুমের সবজি কচুর লতি। প্রচুর আয়রন রয়েছে এতে। লতি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গর্ভবতী, খেলোয়াড়, বাড়ন্ত শিশু, কেমোথেরাপি পাচ্ছেন এমন রোগীদের জন্য কচুর লতি খুবই উপকারী। এতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত ও চুলের ভঙ্গুরতা রোধ করে। এ সবজিতে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ খুব বেশি। এ আঁশ খাবার হজমে সাহায্য করে, দীর্ঘ বছরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, যে কোনো বড় অপারেশনের পর খাবার হজমে উপকারী পথ্য হিসেবে কাজ করে। যে কোনো অপারেশনের পর সেলাইয়ের স্থান দুর্বল হতে পারে। এর জন্য খেতে হবে প্রচুর পানি, শাকসবজি, বিশেষত কচুর লতি। তবে খেয়াল রাখুন যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি পান করবেন। বিশেষত যাদের কিডনিতে ডায়ালাইসিস হচ্ছে তারা কিন্তু পানি খাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক হবেন।

ভিটামিন সিও রয়েছে কচুর লতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে, যা সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। ভিটামিন সি চর্মরোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এতে কোলেস্টেরল বা চর্বি নেই। তাই ওজন কমানোর জন্য কচুর লতি খেতে বারণ নেই। খাবার হজমের পর বর্জ্য দেহ থেকে সঠিকভাবে বের হতে সাহায্য করে। তাই কচুর লতি খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুব কম।  আয়োডিন দাঁত, হাড় ও চুল মজবুত করে। অনেকেই কচুর লতি খান চিংড়ি দিয়ে। চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর কোলেস্টেরল। তাই যারা হৃদরোগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় আক্রান্ত বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা চিংড়ি বা শুঁটকি মাছ বর্জন করুন। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাই ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকলে অল্প পরিমাণে চিংড়ি বা শুঁটকি খেতে পারেন লতিতে। বেশি চিংড়ি পরিহার করা ভালো। কচুর লতি বাড়ায় না রক্তে চিনির মাত্রা। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন কচুর লতি। তবে কচুর যেটা মাটির নিচে থাকে তাতে রয়েছে শর্করার পরিমাণ বেশি, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য পরিমাণে অল্প খাওয়াই উচিত।

আফতাব চৌধুরী

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর