রাজধানী ঢাকা এখন বিশ্বের শীর্ষ বায়ুদূষণ নগরীগুলোর একটি। ঢাকার এই দুর্ভোগের পেছনে ইন্ধন জোগাচ্ছে লক্কড়ঝক্কড় মার্কা বাস। একসময় সিএনজি গ্যাসে চলত এসব বাস। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর ভাড়া বাড়াতে বাসগুলো রাতারাতি ডিজেলচালিত যানবাহনে রূপান্তরিত হয়। ফিটনেসহীন এসব বাস কালো ধোঁয়ায় রাস্তা অন্ধকার করলেও তা দেখার কেউ নেই। রাজধানীতে অবাধে চলছে ভাঙাচোরা, লক্কড়ঝক্কড় বাসের দৌরাত্ম্য। কোনোটির রং চটা, কোনোটির ছাল ওঠা। কোনোটির জানালার গ্লাস ভাঙা, লাইটও নেই, কোনোটির আবার নেই দরজা। কিছু বাসের আসনগুলোর অবস্থা করুণ। বাসের ভাঙা সিটে অনেক সময় যাত্রীদের জামাকাপড় ছিঁড়ে গিয়ে লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। অনেক বাসের ভিতরে প্রস্রাবের দুর্গন্ধ পাওয়া যায়, সিটে বাসা বেঁধেছে ছারপোকা। ফিটনেসবিহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ এসব যানবাহনে চলাচল যেমন বিপজ্জনক তেমনি নগরীর সৌন্দর্যহানিও ঘটছে। বিশৃঙ্খলভাবে চলাচল বাস চালকদের অভ্যাস হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সরকারের নীতিমালা না থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন বাস মালিকরা। দুই দশক আগেও রাজধানী ঢাকায় রুট অনুযায়ী গণপরিবহনের জন্য সুনির্দিষ্ট রং নির্ধারণ করত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। কোনো বাসের রং উঠে গেলে সেটি চলাচলের অনুপযোগী হিসেবে বিবেচনা হতো। বর্তমানে রাজধানীর ২৯১টি রুটে চলাচলকারী ৪০ হাজার বাসের অধিকাংশই রংচটা অবস্থায় চলছে। বাংলাদেশ একসময় ছিল বিশ্বের শীর্ষ দারিদ্র্যপীড়িত দেশ। কালের বিবর্তনে সে লজ্জা কাটিয়ে দেশ মধ্যআয়ের কাতারে উঠেছে। কিন্তু রাজধানীর গণপরিবহনের ক্ষেত্রে লক্কড়ঝক্কড়ের লজ্জা দিন দিন বাড়ছে। এসব দেখার দায়িত্ব যাদের তারা বাস মালিকদের একান্ত অনুগতের ভূমিকা পালন করেন মাসোহারার মোহে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। রাজধানীর বেশির ভাগ বাসে চলাচল করা সুস্থ এবং সভ্য মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। এ লজ্জার অবসান হওয়া উচিত।
শিরোনাম
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে