আগামী বছরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এটিকে তিনি তাঁর নিজের অনুমান হিসেবে ব্যক্ত করে বলেছেন, নির্বাচনের অনেক ধাপ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন গঠন, সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং তারপরই অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি উঠেছে। দ্রুত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের সংস্কার কর্মসূচিতে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে হলেও বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে নির্বাচন নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। স্মর্তব্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করে রাষ্ট্র সংস্কারে মনোযোগ দেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন টার্গেট করে বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংস্কারেও কমিশন গঠন করা হয়েছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনব্যবস্থার স্থায়ী রূপ দিতে এ কমিশন কাজও শুরু করেছে। সংস্কার এবং নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। গত ১২ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন তাঁদের এক নম্বর প্রায়োরিটি। একই দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে। নির্বাচন নিয়ে দেশের দুটি প্রধান দলের দৃষ্টিভঙ্গি প্রশংসাযোগ্য। আমরা আশা করব, সরকারের পেছনে দেশবাসীর যে দৃঢ় ঐক্য গড়ে উঠেছে তা অটুট রাখতে নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার ত্বরান্বিত করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার সফল হবে এমনটি প্রত্যাশিত।