প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। বুধবার এ মেলার ই-টিকিটিং অ্যাপ উদ্বোধন উপলক্ষে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরে আরও সময় প্রয়োজন। মেলায় বিদেশিদের কীভাবে আকৃষ্ট করা যায়, তা নিয়ে কাজ করবে সরকার। মেলায় ৩৬১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়ার প্যাভিলিয়ন থাকবে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত। বাণিজ্য উপদেষ্টার ভাষ্য, দুটি কারণে এ মেলা আন্তর্জাতিক মানের হতে পারেনি। আন্তর্জাতিকভাবে যারা অংশগ্রহণ করেন মাসব্যাপী মেলায় আসার ক্ষেত্রে তারা কিছুটা হলেও অনীহা দেখান। বিশাল একটা খরচের বিষয় চলে আসে। আরেকটা বিষয়, এ মেলায় যারা অংশগ্রহণ করেন তারা দেশি শিল্পকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। সরকারের আগ্রহ এটাকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়ে যাওয়া। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বাংলাদেশি পণ্যের মান ও বিকাশ সম্পর্কে দেশবাসীকে অভিহিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ মেলা সত্যিকারভাবে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করা গেলে বিদেশে বাংলাদেশের শিল্পপণ্য রপ্তানিতে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। স্বীকার করতেই হবে জুলাই অভ্যুত্থানসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এ বছর বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি যথাযথভাবে নেওয়া যায়নি। এমন একসময় বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন দেশের ব্যবসাবাণিজ্যের অবস্থাও ভালো নয়। সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও সংকটাপন্ন। তারপরও আমরা আশা করব এ মেলা বিদ্যমান সংকট উত্তরণে বিশেষত ব্যবসায়ে সুদিন ফেরাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাহস জোগাবে। সেটি সম্ভব হলে তা হবে এক বড় অর্জন।