বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

দর্শক মাতাবেন জিৎ-মিম সোহম-শ্রাবন্তী-মাহি

খরায় আশার আলো চলতি মাসে দুই বাংলার ৮ ছবি

আলাউদ্দীন মাজিদ

দর্শক মাতাবেন জিৎ-মিম সোহম-শ্রাবন্তী-মাহি

দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় চলচ্চিত্রে ছবির অভাবে চলতে থাকা চরম খরায় মাঝে মধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি নামে। আশা জাগানিয়া বেশ কিছু ছবি মুক্তি পায়। সিনেমা হল মালিক, দর্শক এবং নির্মাতারা ঘোর অন্ধকারে আলোর মুখ দেখতে পান। চলতি জুলাই মাসে আবার আশার আলো জ্বলতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। মুক্তি পেতে যাচ্ছে দুই বাংলার প্রায় ৮টি ছবি।  ছবিগুলো হলো— ঢাকার মাহি-সাইমন অভিনীত ‘জান্নাত’। এটি ২৭ জুলাই মুক্তি পাবে। ফেরদৌস-নিঝুম রুবিনার ‘মেঘকন্যা’। এটিও ২৭ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে। রাহশান নূর ও টয়ার ‘বেঙ্গলী বিউটি’। এটি বড় পর্দায় আসছে ২০ জুলাই। গোলাম মোস্তফা শিমুল নির্মিত ‘মুখ ও মুখোশ’। এতে অভিনয় করেছেন কাজী রাজু, দীপান্বিতা মার্টিন, নাফিজা চৌধুরী নাফা, খায়রুল আলম সবুজ। ছবিটি ১৩ জুলাই মুক্তি পাবে।

অন্যদিকে সাফটা চুক্তির অধীনে জাজ মাল্টিমিডিয়া আমদানি করেছে ৩টি কলকাতার ছবি। এগুলো হলো— জিৎ-বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত ‘সুলতান-দ্য সেভিয়ার’, সোহম-শ্রাবন্তী অভিনীত ‘পিয়ারে’ ও যশদাশ গুপ্ত ও সাঞ্জানা অভিনীত ‘ফিদা’।

জাজের কর্ণধার আবদুল আজিজ জানান, আমি চাচ্ছি চলতি মাসেই ছবিগুলো মুক্তি দিতে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্যদিকে কামাল কিবরিয়া লিপু এন ইউ ট্রেডার্সের মাধ্যমে আমদানি করেছেন শাকিব খান, শ্রাবন্তী ও পায়েল অভিনীত ‘ভাইজান এলোরে’ ছবিটি।

 এটি বর্তমানে সেন্সর বোর্ডে জমা রয়েছে। এই ছবির আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, সম্ভব হলে এ মাসেই ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে।

 চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে হলে পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ছবি প্রয়োজন। যার অভাব দীর্ঘদিনের। এই অভাব পূরণে দেশীয় নির্মাতারা যদি সচেষ্ট হন এবং কলকাতার বাংলা ছবি সীমিত আকারে নিয়মিত আমদানি করা যায় তাহলে প্রদর্শক-দর্শক-নির্মাতা সবাই উপকৃত হবেন। ঈদ ছাড়া  একসঙ্গে বেশি ছবি এখন আর মুক্তি পায় না। অনেক দিন পর এক মাসে ৮টি ছবি মুক্তির খবরে সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। আমি চাই এমন ছবি মুক্তির ধারা অব্যাহত থাকুক। এদিকে ঈদে পোড়ামন টু, সুপার হিরো, চিটাঙ্গাইয়া পোয়া নোয়াখাইল্ল্যা মাইয়া ও পাঙ্কু জামাই, কমলা রকেট ছবি— পাঁচটি ছবি মুক্তির পর তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আর কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। এই পাঁচটি ছবিই বিভিন্ন সিনেমা হলে ঘুরে-ফিরে চলছে। যদিও এই শুক্রবার প্রেমিক ছেলে নামে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে কিন্তু এই ছবি সম্পর্কে কোনো প্রচার-প্রচারণা না থাকায় এবং এর অভিনয়শিল্পী নতুন হওয়ায় তাদের সম্পর্কে কারও ধারণা না থাকায় ছবিটি হাতে গোনা কয়েকটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। মানে ছবিটি লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গেছে। প্রদর্শকদের মতে, এ ধরনের কম বাজেটের প্রচার-প্রচারণাবিহীন টেলিফিল্ম মার্কা ছবি মুক্তি পেলে দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকদের অনীহা জন্মে এবং দর্শকরা সিনেমা হল বিমুখ হয়।

সর্বশেষ খবর