মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ → টনি ডায়েস

ঢাকায় নেমে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল

ঢাকায় নেমে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল

নব্বই দশকের সুপরিচিত মুখ টনি ডায়েস। নিউইয়র্ক প্রবাসী এই অভিনেতা পাঁচ বছর পর বাংলাদেশে এসেছেন। তবে অভিনয় করতে নয়, এসেছেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় আড্ডা-আনন্দে কাটানোর জন্য। বাংলাদেশে আগমন ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? বাংলাদেশে স্বাগত!

অনেক অনেক ভালো আছি। ওহ্ অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

বাংলাদেশে এসেছেন তো বেশ কিছুদিন হলো...

২২ জানুয়ারি এসেছি। কক্সবাজারেই আছি বন্ধুদের সঙ্গে।

 

হঠাৎ বাংলাদেশে এই আগমনের কারণটা কি?

এবারের সফরটা একটু ব্যতিক্রম বলা যায়। কোনো নাটকের শুটিং বা কাজের জন্য আসা নয়। এসেছি শুধু শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে ভালো কিছু সময় কাটানোর জন্য। আমি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে পড়েছি। দুরন্ত এক শৈশব-কৈশোর কেটেছে সে সময়। অনেকদিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না, জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার সময় হয় না। তাই এবার স্কুলজীবনের বন্ধুরা এক হয়েছি কক্সবাজারে।

 

মোট কতজন বন্ধুর সঙ্গে এ যাত্রায় দেখা হয়েছে?

চল্লিশ জন। এই বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকে। সবাই কিন্তু প্রাণের টানে ছুটে এসেছি নিজ দেশে কিছুটা সময় একসঙ্গে কাটানোর জন্য।

 

কেমন কাটছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে?

খুবই চমৎকার! পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে বন্ধুরা গিয়ে পানিতে নেমেছি, শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছি, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করছি, নানারকম মাছ ধরছি, নিজের দেশের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দী করছি, নাফ নদ দেখতে গিয়েছি, দেশের চিরচেনা সেই খাবার সবাই মিলে খাচ্ছি, বন্ধুরা মিলে স্মৃতিকাতরতায় ভাসছি-আরও অনেক কিছু! বলে তো শেষ করা যাবে না। দারুণ অভিজ্ঞতা! এ সফরে শুধু কক্সবাজার আর টেকনাফে ঘুরেছি, সময় স্বল্পতার কারণে সেন্টমার্টিন যাওয়া হয়ে উঠেনি।

 

এতদিন পর এলেন, দুই-একটা নাটকের শুটিং করলে হতো না?

আমি আসলে সেরকমটা পারি না। এসেছি শুধু শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে। পরেরবার অভিনয়ের পরিকল্পনা করেই আসা হবে।

 

নিজের ইউটিউব প্লাটফর্মে আবৃত্তি নিয়ে কাজ কেমন চলছে?

আমার নিজস্ব ইউটিউব প্লাটফর্ম ‘ডিয়াজ ইবিজে’ নিয়মিত আবৃত্তি আপলোড করছি। এর আগে রবীন্দ্রনাথের ‘আমি’ কবিতাটি আবৃত্তি করে অবমুক্ত করেছিলাম। এটির মিউজিক করেছেন রূপম অধিকারী। পরিচালনা ও ভিডিওগ্রাফি আমি নিজেই করেছিলাম। এডিটর ও কালারিস্ট মাহফুজুল হক আশিক। একসময় অনেক আবৃত্তি নিয়ে কাজ করেছি। এবার আবৃত্তি নিয়ে নিয়মিত কাজ করব ডিয়াজ ইবিজে প্রোডাকশন থেকে। একটু ব্যতিক্রমই করব। একটি একটি করে আবৃত্তির ভিডিওগুলো ডিয়াজ ইবিজে থেকে প্রকাশ পাবে।

 

বন্ধু খালেদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন?

গতকাল সাভারে গিয়েছিলাম। বন্ধু খালেদের সঙ্গে দেখা করতে। সে ছোটবেলার বন্ধু। শুধু বন্ধুই নয়, ভাইয়ের মতো। জীবনের অনেক সুখ-দুঃখের সঙ্গী আমরা। এখনো একসঙ্গে আছি। সে একজন সফল ব্যবসায়ী। তার ফ্যাক্টরিতে প্রতিদিন দশ হাজার শ্রমিককে বিনা পয়সায় দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়, যা বাংলাদেশে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত! আল্লাহ তার সহায় হোক সবসময়। যদিও প্রিয় শহর ঢাকায় নেমে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। শহরের মানুষগুলো খুবই কষ্টে আছে মনে হলো।

 

নিউইয়র্কে ফিরছেন কবে?

আজকেই। রাতের ফ্লাইটে যাব।

সর্বশেষ খবর