রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : বিদ্যা সিনহা মিম

ভালো কাজ হলে প্রয়োজনে টাকাই নেব না

ভালো কাজ হলে প্রয়োজনে টাকাই নেব না

আবারও কলকাতার ছবিতে কাজ করছেন ঢালিউড অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। কেমন লাগছে ওপার বাংলার সুপারস্টার জিতের সঙ্গে ফের পর্দা জুটি হতে।  এ ছাড়া সমসাময়িক নানা বিষয়ে তাঁর বলা কথা গ্রন্থনা করেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

দীর্ঘদিন পর কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছেন এতে আপনার বিপরীতে অভিনয় করবেন জিৎ তাঁকে নিয়ে কিছু বলুন

তারকা হিসেবে জিৎ অসাধারণ, এটি সবাই জানেন। ব্যক্তি মানুষ হিসেবেও তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ, ভালো মনের মানুষ। জিতের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা পারিবারিক। প্রথমবার তাঁর সঙ্গে কাজ করার পর থেইে আমাদের সুসম্পর্ক। তিনি সবসময় আমার খোঁজখবর রাখেন। তিনি এত বড় মাপের শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর এই আন্তরিকতা অভাবনীয়। সিনেমার বাইরেও ব্যক্তিতগভাবে খোঁজ নেওয়া, যোগাযোগ রাখা এসব নিঃসন্দেহে বড় মনের মানুষের পরিচয়।

 

মানুষ সিনেমার কাজ কেমন চলছে

সবার আশীর্বাদ নিয়ে ভালোভাবে শুটিং শেষ করতে চাই। প্রথম লটের শুটিং চলবে কয়েকদিন। এরপর নতুন বছরের শুরুতে দ্বিতীয় লটের শুটিং হবে।

 

সিনেমায় আপনার চরিত্রটি কেমন?

একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করছি। এ ধরনের চরিত্রে এবারই প্রথম। এ জন্য অবশ্য অনেক প্রস্তুতি নিয়েছি। স্ক্রিপ্ট পাওয়ার পর গল্প ও চরিত্র নিয়ে অনেক ভেবেছি। মন্দিরা আমার চরিত্রের নাম।

 

চলতি বছর আপনারপরাণ দামাল সফলতা আর আলোচনায় ছিল কেমন লাগছে?

অনেক ভালো লাগছে। চলতি বছর আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছি। পরাণ হিট হয়েছে। দামাল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। দামাল সিনেমার চরিত্রটি নিয়ে সবাই প্রশংসা করেছেন। পরাণ সিনেমার কথা এখনো শুনছি। এসব তো খুবই  ইতিবাচক। সংসার জীবন শুরু করেছি এ বছর। ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হয়েছি এ বছর। সবমিলিয়ে বছরটা সত্যিই দারুণ সৌভাগ্যের ছিল আমার জন্য।

 

শরীফুল রাজের সঙ্গে আপনার পর্দা রসায়ন দর্শক পছন্দ করেছে আগামীতে আপনারা আবার জুটি বাঁধবেন?

না, রাজের সঙ্গে সিনেমা করছি না। এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। অদূর ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। কিন্তু এখনকার সিদ্ধান্ত সিনেমা করব না।

 

এতে পার্সোনাল বিষয়ের জন্য প্রফেশনের ক্ষতি হচ্ছে না?

দেখুন, একটি সিনেমা কিংবা নাটক করতে গেলে রোমান্টিক দৃশ্য থাকতেই পারে। যেখানে হাত ধরা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়, সেখানে রোমান্টিক দৃশ্যে কীভাবে অভিনয় করব? ‘পথে হলো দেখা’ ছাড়াও আরও একাধিক সিনেমা নিয়ে কথা হচ্ছিল। যেখানে আমরা দুজন জুটি হিসেবে অভিনয় করতাম। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না।

 

নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কী বলবেন

সবার ভালোবাসায় আমি ক্যারিয়ারের সুন্দর সময় পার করছি। সবার প্রতি সম্মান করেই বলছি, শোবিজ আমাকে অনেক দিয়েছে। আমি সুন্দরভাবে কাজ করতে চাই।

 

কী ধরনের চলচ্চিত্র আপনাকে টানে?

যে চলচ্চিত্রের সুন্দর গল্প আছে, যে চলচ্চিত্রে সুন্দর কিছু চরিত্র আছে, ভালো পরিচালক আছেন- সে কাজই আমাকে বেশি বেশি টানে। অনেক বেশি চলচ্চিত্র না করে ভালো ভালো চলচ্চিত্র কম হলেও করতে চাই। দিন শেষে কাজটাই একজন শিল্পীকে বাঁচিয়ে রাখে।

 

সিনেমার পাশাপাশি ওয়েবের কাজ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

যাচাই-বাছাই করে ওয়েবের কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে চাই। গতানুগতিক কাজ আমার পছন্দ নয়। আর সব ব্যানারের কাজ করতে চাই না। ভালো ব্যানার, বড় বাজেট হলে আবার ওয়েবের কাজ করব।

 

চলচ্চিত্রের মন্দ অবস্থার মধ্যেও অনেক শিল্পী পারিশ্রমিকের বিষয়টিকে বড় করে দেখছেন, এক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য কী?

আমি ভালো কাজকে প্রাধান্য দিই, পারিশ্রমিককে নয়। যদি বিষয়টি এমন হয়, সিনেমার গল্পটা অসাধারণ অ্যাকচুয়ালি তা মন থেকে করতে উৎসাহ বোধ করছি, তখন আমি সেটি এমনিতেই করে দেব। কোনো পারিশ্রমিক নেব না।

 

ওয়েব কনটেন্টের জন্যও কি তাই?

আমি সিনেমার জন্য ছাড় দিই। ভালো কাজ হলে প্রয়োজনে টাকাই নেব না। কিন্তু কাজটা ভালো হতে হবে। এটাই শর্ত। আর ওয়েব কনটেন্টের ক্ষেত্রে গল্প পছন্দ হলে এবং আমি যে পারিশ্রমিক নিই তা দিলে কাজ করব। না হলে করব না। বরং ওয়েবের চেয়ে টিভি নাটকে অভিনয় করা ভালো।

 

ওয়েব এবং নাটক, কোনটি আপনার কাছে প্রাধান্য পায়?

আমি নাটককেই বেশি প্রাধান্য দিই। একটা নাটক করলে, সেটি না হলেও কোটি দর্শক দেখছেন। আর একটা ওয়েব করলে কি এত দর্শক দেখেন? বড়জোর ২-৩ লাখ দর্শকের কাছে পৌঁছায়। তাহলে কোনটা বেটার? যেটি সবাই ওপেনলি দেখতে পারবে সেটিই তো আমার কাছে বেটার মনে হয়।

সর্বশেষ খবর