ঢাকাই সিনেমায় এ মুহূর্তে সবচেয়ে ব্যস্ততম অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। অল্প সময়েই নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। বৈচিত্র্যময় চরিত্র ও অভিনয় দক্ষতায় দুই বাংলার দর্শকদের মুগ্ধ করছেন। ঈদে ‘অন্তর্জাল’-এ লুমিন হয়ে বড় পর্দায় আসছেন। তার সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
পরিবারের সবাই কেমন আছে?
আলহামদুলিল্লাহ! সবাই বেশ ভালো আছে।
সৈকত নাসিরের নির্মাণে তাহলে বড় ধামাকা প্রজেক্টে সিয়ামকে দেখবে দর্শক...
আসলে বেসিক অবস্থায় আছে এটি। কথা চলছে। স্ক্রিপ্ট যদি ভালোভাবে ডেভেলপ করা যায়, তাহলে বিগ ধামাকা কিছু একটা হবে। তবে এখন কিছু বলা যাবে না। যদি সবকিছু ঠিকঠাক মতো হয় তাহলে প্রজেক্টটি নিয়ে মুভ করব, না হলে হবে না। আওয়াজ না দিয়ে আগে কাজগুলো নিয়ে তৈরি হই।
ঈদে বাংলাদেশসহ পাঁচ মহাদেশে অন্তর্জাল একসঙ্গে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। পূর্ব প্রস্তুতি কেমন চলছে?
প্রমোশনাল প্ল্যান তো চলছেই। আসলে আমরা আগে থেকেই অডিয়েন্সের কথা মাথায় রেখে অনেক কিছু তৈরি করে রেখেছি। প্রায় আড়াই বছরের জার্নি! তাই এই সময়ের কথা চিন্তা করে প্রত্যেকটি বিষয় যেমন টিজার, ট্রেইলার, পোস্টার, গান তৈরি রয়েছে। একে একে সব প্রকাশ হবে। আমি তো বলব, অন্তর্জাল-এর প্রত্যেকটি গানই সময়োপযোগী। দর্শকদের ভালো লাগবে। যেহেতু সিনেমাটি তরুণদের জন্য, তাই ছবিটিতে তাদের বিভিন্ন বিষয়কে তুলে আনার চেষ্টা আছে। সবকিছুরই অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে, হলে রিলিজ হোক-সব বোঝা যাবে তখন।
স্বল্প ক্যারিয়ারে অনেক ধরনের চরিত্র করেছেন। লুমিন চরিত্রটি আগের চরিত্র থেকে কতটা আলাদা?
লুমিন চরিত্রটি আমার অসম্ভব প্রিয় ও ভালোবাসার একটি চরিত্র। একটা কথা বলতে পারি, লুমিন চরিত্র থেকে এই সময়ের প্রজন্মরা কিছু হোপ পাবে। আমার বা আপনার ব্যাচ বা ফ্রেন্ড সার্কেল থেকে কী দেখেছি? দেখেছি যে ব্যাচের অনেকেই পড়াশোনা শেষ করার পর ভালো সুযোগের আশায় বিদেশে পাড়ি জমায়। সেখান থেকে যেসব মেধাবী ফিরে আসে তারা অনেক সময় কিছুই করতে পারে না। হতাশ হয়ে যায়। আবার কিছু মেধাবী আবার বিদেশে স্যাটেল হয়ে যায় ভবিষ্যৎ চিন্তা করে। কিন্তু লুমিন রাজশাহীর এমন একটা ছেলে যে কি না আমেরিকা-কানাডায় গিয়ে পড়াশোনা করে পরিবারসহ স্যাটেল হওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা করে না। লুমিন চলে যায় সাঁওতাল পল্লীতে। ছোট ছোট বাচ্চাদের প্রোগ্রামিং শেখায়। এটাই বাংলাদেশ! আমি মনে করি, অন্তর্জাল দেখার পর আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম লুমিনের মতো অনেকে হতে চাইবেন। এটাই চরিত্রটির সার্থকতা। এমন চরিত্র আমি আগে কখনো করিনি। তাই এমন বৈচিত্র্যময় চরিত্রের জন্য দর্শকও সিয়ামকে দেখতে চাইবেন।
প্রজেক্টে সুনেরাহ, সুমন, অমিত, মিমসহ অনেককেই পেয়েছেন। মিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক ভালো। মিমের সঙ্গে একটা ছবি করার কথা থাকলেও হয়নি। সেটা রাফির ‘ইত্তেফাক’। তবে আমরা এরপর ‘দামাল’ এ কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের দুজনের একসঙ্গে কোনো দৃশ্য ছিল না। অন্তর্জালে বলা যায়, প্রথমবার আমরা একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছি।
হিন্দি সিনেমা ‘ইন দ্য রিং’...
অনেকেই ভাবছেন বলিউডের ছবি। আসলে এটা হিন্দি ভাষায় নির্মিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের ছবি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।
ঢালিউডের সিনেমার শুটিং কি শেষ?
প্রায় শেষ বলা যায়। অন্তর্জাল-এর প্রমোশনসহ কিছু কাজের জন্য এখন সময় দিচ্ছি। তবে ডাবিং করতে ওখানে যাব। সেখানে গিয়ে ছবিটি দেখব, কিছু কারেকশন থাকলে বলব। তারপর সব ঠিক থাকলে প্রমোশনাল প্ল্যানে সময় দেব। কাজটি অন্যরকম হয়েছে। পুরোটাই এন্টারটেইনমেন্ট হবে।
নতুন আর কোনো প্রজেক্টের সুখবর...
অসংখ্য প্রজেক্ট, কথা হচ্ছে। তবে এটা বিগ স্ক্রিন, তাই সব ঠিকঠাক মতো হওয়া প্রয়োজন। সর্বদা চাই, দর্শকদের নতুন কিছু প্রেজেন্ট করতে।
রোমান্টিক সিনেমায় ফেরার ইচ্ছা আছে নাকি?
হ্যাঁ, সিরিয়াস তো অনেক কাজই করেছি। তাই আমার নিজেরই মনে হচ্ছে রোমান্টিক সিনেমায় ব্যাক করা দরকার। সেটা হয়তো এবার রাফির প্রজেক্টও হতে পারে। দেখা যাক, সামনে কী হয়!