কিংবদন্তি অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দা এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ব্যক্তিগত ও চলচ্চিত্রজীবন নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে গতকাল কথা বলেছেন তিনি। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ
এখন কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো আছি। গত ১২ জানুয়ারি নিউমোনিয়াসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। পাঁচ দিন সেখানে ছিলাম। অসুস্থতার খবরে আমার ভক্ত-অনুরাগীরা খুবই চিন্তিত। সবাইকে বলব, এখন আমি আগের চেয়ে অনেক সুস্থ। সবার কাছে দোয়া চাইছি।
চলচ্চিত্রের মানুষেরা আপনার খোঁজখবর নেয়?
না, চলচ্চিত্রের মানুষের খোঁজ নেওয়ার সময় কোথায়। সবাই নিজের কাজ নিয়ে নিজেরা ব্যস্ত। তাই চলচ্চিত্রের কেউ অসুস্থ হলে তেমনভাবে কেউ কারও খবর নেওয়ার সময় পায় না। এতে আমার কোনো আক্ষেপ নেই, দোয়া করি সবাই ভালো থাকুক।
এখন সময় কীভাবে কাটছে?
আসলে ধর্মকর্ম নিয়েই আমার বেশির ভাগ সময় কেটে যায়। ছেলেমেয়ে ও পারিবারিকভাবে সবাই আমার দেখাশোনা করে। সবাইকে নিয়ে ভালোমন্দ মিলিয়ে জীবনটা কেটে যাচ্ছে। শুক্রবার লেডিস ক্লাবে বার্ষিক নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েছিলাম।
গত বছরের বইমেলায় আপনার বই প্রকাশিত হয়েছিল, এবার নতুন কিছু আসছে?
হ্যাঁ, এবারের বইমেলায় গত বছর আমার লেখা ও প্রকাশিত বই ‘আজও ভুলিনি’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ হবে। এতে আমার আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা, জহির রায়হান প্রসঙ্গ, বেহুলা ও রূপবান চলচ্চিত্রের পর কীভাবে এ দেশের চলচ্চিত্রের উত্তরণ ঘটল, চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত সবার এবং সব বিষয় বিস্তারিত লেখা আছে।
বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্র জগৎ নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
আসলে নব্বই দশকের শেষ ভাগে এসে কিছু অসাধু মানুষের কারণে চলচ্চিত্রে ধস নামে। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের অনেক শিল্পী ও নির্মাতা আসছে, তারা ভালো কাজ করছে। আমি আশাবাদী এ নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই আমাদের চলচ্চিত্রের সুদিন আবার ফিরবে। আমি যেহেতু চলচ্চিত্রের মানুষ, শিল্পী এবং নির্মাতা দুই-ই, তাই আমার সব ভাবনা চলচ্চিত্রকে ঘিরে। এখনো নিয়মিত চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্রের মানুষের খোঁজখবর রাখি। বলতে পারেন চলচ্চিত্রই আমার ধ্যান-জ্ঞান।