শোবিজের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু, যিনি নিজস্ব অভিনয়শৈলী ও সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। নাটক, বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র কিংবা ওটিটি- সব ক্ষেত্রেই রয়েছে তাঁর দীপ্ত পদচারণ। সম্প্রতি তিনি অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
শিল্পী সংঘের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হলেন। চাপটা কেমন অনুভব করছেন?
নিঃসন্দেহে হুট করেই চাপটা বেড়ে গেছে বহুগুণ। এত ভালোবাসা দিয়ে আমাকে বিপুল ভোটে পাস করানো, কাজের চাপ, টেনশন- সব মিলিয়ে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এ ভালোবাসার উপযুক্ত প্রতিদান আমাকে তো দিতেই হবে তাই না?
নবগঠিত কমিটির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কী কী বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চান?
আগেও বলেছি এখনো বলছি- সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব। অভিনয় শিল্পী সংঘ সরকার থেকে একখণ্ড জমি পেয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় সেটা নিয়ে একটু জটিলতা হয়েছে। তাই আমাদের প্রথম কাজ হবে সেই জমি ফিরিয়ে এনে বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করে দেওয়া। আরেকটি হলো- শিল্পী কল্যাণ তহবিল পাস করানো। এটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব এবং দাবি জানাব যেন শিল্পীরা এ তহবিল থেকে চিকিৎসা ভাতা, পেনশন ভাতা পান। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, অভিনয়কে পেশা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য কাজ করা। আমাদের অনেক প্রবীণ-নবীন হতাশা ও কষ্ট নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। তারা চেয়েছিলেন অভিনয়কে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি কিন্তু পাননি। সেটা এবার গুরুত্ব পাবে। অন্যদিকে দেশের সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কিংবা বিভিন্ন সময়ই শিল্পীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেক্ষেত্রে শিল্পী সংঘের পদক্ষেপ হবে শিল্পীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। শিল্পী সংঘের একটি স্বতন্ত্র পারফর্মার ইনস্টিটিউট গড়ে তুলতে চাই, যেখান থেকে প্রতি বছর আমরা অন্তত ৫০ জন পারফর্মার ইন্ডাস্ট্রির জন্য উপহার দিতে পারব। আর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ঢাকার অদূরে একটি অ্যাক্টরস ইকুইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। দেখা যাক, স্বপ্ন কতটুকু পূরণ হয়।
ঈদে দাগি ও জংলি সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ভিড় করেছে। আপনার অভিনয় নিয়ে প্রশংসা করছে, কেমন লাগছে?
দুর্দান্ত রকমের অনুভূতি! যখন থিয়েটারে কাজ করতাম তখন তো দর্শকদের রিঅ্যাকশন সরাসরি অনুভব করতাম। আর এখন সিনেমা হলে সেটা দেখতে পাচ্ছি। দর্শক ভালো বলছে, প্রশংসা করছে-যেগুলো সামনে ভালো ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়। নতুন কিছু করার দায়বদ্ধতার জায়গা মনে করিয়ে দেয় সবার ভালোবাসা।
কোন সিনেমায় অভিনয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়েছে?
জংলি ও দাগি দুটোতেই অনেক কষ্ট করেছি। তবে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়েছে দাগি সিনেমায়। দুটো গেটআপে দেখা গেছে দাগিতে। একই গেটআপে প্রায় ৫০ দিন ছিলাম। অন্য কোনো কাজ করিনি এ সময়।
ছবি-ওটিটিতে কাজ...
৯টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কবে আসবে জানি না। ‘আতরবিবি লেন’, ‘জলরঙ’ আসবে বলে শুনেছি। আর ওটিটিতে বেশ কিছু কাজের কথা চলছে। এগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব এখন।