টেলিভিশন-চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যস্ত। মঞ্চে সময় দিচ্ছেন কীভাবে?
মঞ্চের কাজের জন্য অনেক সময় আমি টেলিভিশনের নাটকও ছেড়ে দেই। ৩০ বছর ধরে মঞ্চে অভিনয় করছি। তাই আগে মঞ্চ, তারপর অন্য কিছু।
মঞ্চ, টেলিভিশন ও রেডিও তিন অঙ্গনের নাটকেই অভিনয় করছেন। তো কোন মাধ্যমটি আপনার বেশি প্রিয়?
একেকটা একেক ধরনের। একজন শিল্পীর নির্দিষ্ট কোনো মাধ্যম থাকা উচিত নয়। তবে আমি মঞ্চকেই বেশি ভালোবাসি। মঞ্চের কাজ থাকলে আমি টিভিতে সময় দেই না।
মঞ্চ তার জৌলুস হারিয়েছে। কারণটা কী?
আমি তো দেখতে পাচ্ছি মঞ্চ আগের চেয়ে বর্তমানে আরও ভালো অবস্থানে আছে। জৌলসু তো হারায়নি।
অভিনয়ের পাশাপাশি আপনি তো বেশ কয়েকটি নাটকেরও নির্দেশনা দিয়েছেন। তো ভবিষ্যতে পরিচালনায় স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছা আছে কিনা?
পরিচালনা করতে গিয়ে দেখলাম, ওটা আমার কাজ নয়। আমাকে অভিনয়েই মানায়। পরিচালনার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছি। তবে লেখালেখির কাজটা করে যাব।
টেলিভিশনের ব্যস্ততা নিয়ে বলুন
সন্দেহ, গনি মিয়ার কোচিং সেন্টার, সিনথিয়া ও এঞ্জেলসহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ করছি। এ ছাড়া ঈদের কয়েকটা নাটকের কাজ শেষ করলাম। আরও বেশ কিছু খণ্ডনাটক ও ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। এ মুহূর্তে নাম মনে করতে পারছি না। এ ছাড়া ঈদের দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি।
মঞ্চ ও ছোট পর্দার সীমাবদ্ধ গণ্ডি পেরিয়ে চলচ্চিত্রের সঙ্গেও সম্পৃক্ত হয়েছেন।
বাপ্পারাজের পরিচালনায় 'কার্তুজ' নামের একটি সিনেমাতে অভিনয় করছি। এ ছাড়া আরও কাজ করছি সাফিউদ্দিন সাফির 'পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী-২' এ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুদানের ছবি 'অপেক্ষা'।
আপনার তো অনেক পরিচয়। কোন পরিচয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
একেকটাতে একেক রকমের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সব পরিচয়ই আমার অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে গভীরভাবে। কোনোটার চেয়ে কোনোটাকে আমি ছোট করে দেখি না।
মোস্তফা মতিহার