সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে দুটি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও হরতাল পালন করেছে ফরিদপুর ও বাগেরহাটের মানুষ। গতকাল সকাল থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। আর বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে ডাকা হরতালে বন্ধ থাকে দূরপাল্লা ও আন্তজেলার যান চলাচল। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে অন্তর্ভুক্ত করায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দুটি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। গতকাল সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। দাবি মানা না হলে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে, বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে হরতাল পালন করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে দূরপাল্লা?ও আন্তজেলার যান চলাচল বন্ধ থাকে। জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ও আলগী ইউনিয়ন পৌরসভার সীমানা ঘেঁষা। অতীতে ভাঙ্গা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৫ আসন ছিল। ২০০৮ সাল থেকে ফরিদপুর-৪ আসনে একীভূত হয়। সম্প্রতি দুই ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনের সঙ্গে একীভূত করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। পূর্বের সীমানা বহালের দাবিতে মঙ্গলবার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। একই দাবিতে গতকালও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। দাবি মানা না হলে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইশবাল হোসেন সেলিম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দুটি ইউনিয়ন ফিরে পেতে কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল হাই কোর্টে রিট করেছেন। আমরা আন্দোলনের সঙ্গে আছি।’
বাগেরহাট : বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে হরতাল পালন করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে দূরপাল্লার ও আন্তজেলার সব যান চলাচল বন্ধ থাকে। গতকাল সকাল থেকেই জেলার সড়ক-মহাসড়কের অন্তত ৩০টি পয়েন্টে পিকেটাররা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
হরতাল চলাকালে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন কমিয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে। জেলার ভৌগোলিক অবস্থা, জনসংখ্যা, মোংলা বন্দর, ইপিজেড ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় চারটি আসন বহাল রাখা প্রয়োজন। একটি আসন কমে গেলে বাগেরহাটবাসী বঞ্চিত হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত গেজেটে বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে নতুন সীমানা নির্ধারণ করে।