সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন। আপনার অনুভূতি কেমন?
একুশে পদক আমার দায়িত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। গণমাধ্যমের মতো একটি স্পর্শকাতর মাধ্যমের জন্য প্রথমবারের মতো সরকার একুশে পদক প্রদান করে প্রমাণ করেছে, তারা গণমাধ্যমবিরোধী নয়। একুশে পদক শুধু আমার একার অর্জন নয়, গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত সবার অর্জন। আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। এখন সবার কাছে দোয়া চাই, যেন এই পুরস্কারের মর্যাদা রাখতে পারি।
আপনার পুরস্কারপ্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে চ্যানেল আইয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
হ্যাঁ, এই আনন্দের ভাগীদার শুধু আমি একা নই। আমার চ্যানেলের সবার। কারণ সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকের এই অর্জন। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই শুভাকাঙ্ক্ষীরা চ্যানেল আইতে এসে আমাকে শুভেচ্ছা জানান। রাত থেকে শুরু করে দিনভর ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত আমি। অনেক ভালো লাগছে। আমার বিশ্বাস, এই প্রাপ্তিতে গণমাধ্যম উৎসাহিত হবে ও নতুন সৃষ্টিতে এগিয়ে যাবে।
আমাদের দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা কি হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
একটি গণমাধ্যম একটি জাতির দর্পণ। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করাই তাদের কাজ। চ্যানেল আই বরাবরই এই ভূমিকা পালন করে আসছে ও প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা সারা বিশ্বের সত্য ঘটনাগুলো দর্শকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করি। 'হৃদয়ে মাটি ও মানুষ' এই স্লোগান নিয়ে চ্যানেল আইয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল, ভবিষ্যতেও এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আর এ জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে আমাদের টিভি চ্যানেল। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা সব সময় প্রাধান্য দিয়েছি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে। আপনারা সব সময় দেখবেন মেলা, গানের অনুষ্ঠান, কৃষকদের জন্য অনুষ্ঠান প্রাধান্য দিয়েছি আমরা। সামনে আমরা আরও ভালো কিছু অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশের সব শ্রেণির মানুষের আবেগের রঙ আমরা ধারণ করার চেষ্টা করছি। সবার কথা বলতে চাই।
এই আনন্দের দিনে চ্যানেল আই পরিবারকে আপনি কি মেসেজ দিতে চান?
আমি শুধু একটি কথা বলতে চাই, সবাই যদি একসঙ্গে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করি, তা কখনো বিফলে যাবে না। আমাদের এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা যদি বজায় রাখি, সামনে আমরা আরও অনেক পুরস্কার পাব।
আপনার এই পুরস্কার গণমাধ্যমেও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।
জেনে ভালো লাগছে। কারণ মিডিয়ার সবাই একটি পরিবার। আমি এভাবেই ভাবি। পরিবারের একজনের সাফল্য মানে সবার সাফল্য।
* আলী আফতাব