রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী কেমন কাটালেন?
এই সময়টাতে আমাদের কদর একটু বেড়ে যায়। ওই দিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ছায়ানটে একটি অনুষ্ঠানে অংশ গান পরিবেশন করেছি।
নতুন কোনো অ্যালবামের কাজ করছেন?
গত বছর আমার একটি রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল। আরও একটি নতুন অ্যালবামের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি সব সময় একটু সময় নিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করি।
অনেকটা সময় এই জগতে। কিন্তু আপনার অ্যালবামের সংখ্যা কম কেন?
আমি দীর্ঘদিন ধরেই গান করি। কিন্তু সে অনুসারে আমার খুব বেশি অ্যালবাম প্রকাশ হয়নি। তবে আমি যে ক'টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছি তা সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করেছি। অনেক যত্ন নিয়ে অ্যালবাম করতে না পারলে তা না করাই ভালো। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের আগ্রহেই আমি অ্যালবাম প্রকাশ করে থাকি। অ্যালবাম প্রকাশে কখনোই আমার স্বাধীনতা খর্ব হতে দিই না।
গানের জগতে আসার গল্পটা বর্তমান প্রজন্মের জন্য নতুন করে বলবেন কি একটু?
আমি বড় হয়েছি গানের পরিবেশের মধ্য দিয়ে। আমার মা পিয়ানো বাজিয়ে গান করতেন। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা শুনতাম। তখন আমার আর বয়স কতইবা হবে, বড়জোর তিন-চার বছর মাত্র। বাবাও গান করতেন। বাসায় প্রায় সবরকমের বাদ্যযন্ত্রই ছিল। আমার ভাই-বোন সবাই গানবাজনা করত। বাবা-মায়ের সাহচর্যে এভাবেই সংগীতের সঙ্গে আমার চলে আসা। তারপর আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করি ছায়ানটে। ছায়ানট প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে আমি বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সনজিদা খাতুনের কাছে গান শিখি। এরপর সংগীতে উচ্চতর শিক্ষা নিতে চলে যাই শান্তিনিকেতনে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
গান আমার আত্দার সঙ্গে মিশে আছে। সংগীতের মায়াবী সুরের মূর্ছনায় আমি খুঁজে পাই জীবনের সব আনন্দের স্বাদ। আর এ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই আমার অগণিত ভক্ত-শ্রোতার সঙ্গে। আজীবন গানের মাঝেই বেঁচে থাকতে চাই আমি।
আলী আফতাব