দুই বাংলায় যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
পৃথিবীতে ৩৫ কোটি বাঙালি রয়েছে। তাদের জন্য অন্তত বাংলা ছবির প্রসার ঘটানো উচিত। ছবি বিনিময় হলে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পই সমৃদ্ধ হবে। আকাশ সংস্কৃতির সুবাদে এমনিতেই মানুষ বিদেশি চ্যানেলে বিদেশি অনুষ্ঠান দেখছে। যৌথ প্রযোজনায় একটা নিয়মের মধ্যে ছবি নির্মাণ হলে আমাদের জন্যই লাভ। এতে করে তাদের টেকনোলজি ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমাদের টেকনোলজি ও অভিজ্ঞতার বিনিময় হবে। তবে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে শিল্পী, কলাকুশলী থেকে শুরু করে সব কিছুই সমতার ভিত্তিতে হতে হবে।
যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণের বিষয়ে কোনো নীতিমালা কি এখনো তৈরি হয়েছে?
আমার জানা মতে এখনো কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। লজিস্টিক সাপোর্ট, শিল্পী ও কলাকুশলী নির্বাচন এবং বাজেটের বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত বলেই আমি মনে করি। নীতিমালা তৈরি হলে উভয় পক্ষের জন্যই ভালো। দুই পক্ষের বিনিময় সমান না হলে কখনোই ভালো কিছু নির্মাণ করা সম্ভব নয়।
চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
বর্তমান সরকার চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করেছে। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটকে আরও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। শিল্পী-কলাকুশলীসহ চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সব কিছুর আগে সিনেমা হলের পরিবেশের উন্নয়ন করতে হবে।
আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো ভারতে প্রদর্শনে কি করা উচিত বলে মনে করেন?
ভারতের চ্যানেলগুলো কম ডাইনলোড ফি'তে আমাদের দেশে চলছে। কিন্তু আমাদের চ্যানেলগুলো তাদের দেশে চালাতে হলে ডাউনলোড ফি অনেক বেশি দিতে হয়। কম ডাউনলোড ফির কারণে এদেশের ঘরে ঘরে ভারতের চ্যানেল চলছে। আমরা যদি ক্যাবল অপারেটরদের বেশি ডাউনলোড ফি নির্ধারণ করে দিতে পারতাম তাহলে বিদেশি অনেক চ্যানেলই আমাদের এখানে চালানো যেত না। এতে করে আমাদের চ্যানেলগুলোর প্রসার ঘটত এবং সমৃদ্ধ হতো আমাদের সংস্কৃতি। দুই দেশের বন্ধু রাষ্ট্রের সম্পর্কের ভিত্তিতে ডাউনলোড ফি নির্ধারণ করা উচিত। এক্ষেত্রে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।
মঞ্চে পেশাদারিত্ব তৈরি করা যায় কীভাবে?
বিশ্বাস, কমিটমেন্ট ও দায়িত্ববোধের কারণেই নাট্যকর্মীরা মঞ্চে কাজ করছেন। পেশাদারিত্ব তৈরি করতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
মোস্তফা মতিহার