প্রতিষ্ঠার অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় পর এফডিসির ১ নম্বর ফ্লোরটি নতুন রূপে সাজতে যাচ্ছে। এটি সংস্থার প্রথম শুটিং ফ্লোর। অন্যদিকে মিরপুরের ভাসানটেকে অবস্থিত এফডিসির কর্মচারীদের আবাসিক ভবনটি ভেঙে এখানে একই সঙ্গে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে থাকবে একটি আধুনিক সিনেপ্লেক্স।
এফডিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ১ নম্বর ফ্লোরটির আধুনিকায়নের জন্য ইতিমধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ লাখ ১২ হাজার টাকারও বেশি। তিনি বলেন, শিগগিরই অন্য ফ্লোরগুলোর সংস্কারকাজ শুরু হবে।
চলচ্চিত্রকাররা জানান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের শোবিজ বিভাগে ধারাবাহিকভাবে এফডিসির নানা সমস্যার কথা প্রকাশিত হয়। এতে ফ্লোরগুলোর জীর্ণদশা নিয়ে একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশ করলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।
এফডিসির প্রকল্প পরিচালক লক্ষ্মণ চন্দ্র দেবনাথও বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন একদিকে পাঠকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে অন্যদিকে এতে গঠনমূলক সংবাদ প্রকাশের কারণে সর্বস্তরের কল্যাণ হচ্ছে এবং পত্রিকাটি সহজেই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
তিনি জানান, মিরপুরে অবস্থিত এফডিসির কর্মচারীদের যে আবাসিক ভবন রয়েছে তা ভেঙে সেখানে নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত বোর্ড মিটিংয়ে নীতিগতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ মাল্টিস্টোরেড ভবনে একটি আধুনিক সিনেপ্লেক্সও থাকবে। এ ব্যপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই এর কাজ শুরু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রকল্প পরিচালক জানান, এতে আর্থিকভাবে এফডিসি, সরকার এবং চলচ্চিত্রের লোকজন উপকৃত হবে। এফডিসির আয় বাড়বে এবং সরকার রাজস্ব পাবে। তিনি আরও জানান, এফডিসির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনকভাবেই এগোচ্ছে। চলতি অর্থবছরের মধ্যেই এ কাজ সম্পন্ন হবে।