কেক কাটা, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাবনায় পালিত হচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি ও পাবনার মেয়ে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৮৫তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় সুচিত্রা সেন জন্মবার্ষিকী উৎসব।
পাবনা সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রবি। পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক মুরশাদ সুবহানী, পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন, পাবনা লালন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মনি, অধ্যক্ষ এনামুল হক টগর, মির্জা গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ বেতারের সাংবাদিক সুশীল তরফদার, দৈনিক জনকণ্ঠের কৃষ্ণ ভৌমিক, প্রভাষক সমীর উদ্দিন, আখতার জামান, সাংস্কৃতিক কর্মী সৈকত আফরোজ আসাদ, সাংবাদিক রাজিউর রহমান রুমী, সিফাত রহমান সনম, নাসির উদ্দিনসহ স্থানীয় সাংস্কৃতিক ও নাট্যকর্মীরা।
সভায় বক্তারা বলেন, পাবনার গণমানুষের দীর্ঘ আন্দোলনে সুচিত্রা সেনের পাবনার পৈত্রিক বাড়ি দখলমুক্ত হয়। কিন্তু বাড়ি উদ্ধার হওয়ার দুবছর পেরিয়ে গেলেও আমলাতন্ত্রিক জটিলতায় সেখানে কোনো স্মৃতি সংগ্রহশালা গড়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকায় নান্দনিক সৌন্দর্য্য হারাতে বসেছে মহানায়িকার শৈশব কৈশোরের সাক্ষী এ বাড়িটি। সুচিত্রা সেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে তার পাবনার পৈত্রিক বাড়িতে একটি স্মৃতি সংগ্রহশালা গড়ে তোলার দাবী জানান তারা।
বক্তারা আরো বলেন, পাবনাবাসীর গর্ব এ বাড়ি নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে পাবনার মানুষ দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
এদিকে, মহানায়িকার জন্মদিন উপলক্ষে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন ও সুচিত্রা স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। উৎসব উদ্বোধন করবেন গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মুক্ত মঞ্চে উৎসব চলবে ৬ এপিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত।এছাড়া প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, আকতারী মমতাজ, পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব, এস এ হক অলিক এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা নিরব।
প্রসঙ্গত, বাংলা চলচ্চিত্রের অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দেয়া কালজয়ী এই মহানায়িকা ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনায় তার নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা পৌর এলাকার গোপালপুরের হেমসাগর লেনের বাড়িতে তার শৈশব ও কৈশোর কাটে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় সুচিত্রা সেন সপরিবারে ভারত চলে যান।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে পরলোকগমন করেন। এদিকে সুচিত্রা সেনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে পাবনা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বিডি/৬ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ