অশরীরীর অস্তিত্ব নিয়ে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীর তর্কের শেষ নেই। ভূত চতুর্দশী পেরিয়ে হ্যালোউইনের ঠিক আগে সেই তর্কে ইন্ধন জুগিয়ে লাভ নেই। বরং এই সম্পর্কে শুনে নেওয়া যাক কিছু তারকাদের অভিজ্ঞতার কথা।
যুক্তিবাদীরা যখন বিদেহী আত্মার তত্ত্বকে উড়িয়ে দেন, ঠিক তখনই তার সপক্ষে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খোলেন পরলোকবাদীরা। এ তালিকায় যেমন স্থান করে নিয়েছেন বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, পরের তালিকায় বাদ পড়েনি খোদ হলিউড ও আমেরিকান সঙ্গীত জগতের অনেক তারকা। তাদের দাবি, জীবনের কোন না-কোন সময় ভূতের সান্নিধ্য লাভ করেছেন তারা।
তালিকার প্রথমেই রয়েছেন জনপ্রিয় পপ গায়িকা লেডি গাগা। জীবনে নাকি একাধিক বার বিদেহী আত্মাদের সঙ্গে তার স্বাক্ষাৎ হয়েছে। তবে তার মধ্যে একজনের উৎপাতে জেরবার হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন গাগা। রায়ান নামে এক যুবকের আত্মা গায়িকাকে বেশ কয়েক বছর নাকি আতঙ্কিত করেছিল। শেষে তার হাত থেকে রেহাই পেতে ২০১০ সালে মনস্টার বল ট্যুরের সময় আয়ারল্যান্ডে প্ল্যানচেটে বসেন গাগা। এমনকি রায়ানকে তাড়াতে হাজার হাজার ডলার খরচ করে ভূত তাড়ানোর তড়িত্চুম্বকীয় ঝাড়ু পর্যন্ত কেনেন তিনি। শোনা যায়, যন্ত্রটা তার কাজে লেগেছিল!
আর এক পপতারকা সেলেনা গোমেজও ভূত দর্শনের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তবে তাতে ভয় না পেয়ে উল্টো পরলোক ও অশরীরী আত্মাদের সম্পর্কে তার কৌতুহল বেড়েছে। ব্যাপারটা এমন পর্যায় পৌঁছায় যে, নিজের স্মার্টফোনে এক বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোড করেন সেলেনা। এই অ্যাপের মাধ্যমে নাকি অলৌকিকের অস্তিত্ব মেপে দেখা সম্ভব। সমালোচকরা অবশ্য বলেন, এ সম্পর্কে জাস্টিন বিবার কিছু আলোকপাত করতে পারেন।
এই দুই নক্ষত্রের চেয়ে আবার বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গ্ল্যামারাস গায়িকা কেশা। তার দাবি, শুধুমাত্র অশরীরীর উপস্থিতিই তিনি টের পাননি, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যৌন মিলনও উপভোগ করেছেন। ২০১২ সালে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কেশা জানান, 'ভূতের সঙ্গে রতিক্রিয়ায় অবশ্যই একটু ভয় করেছিল, তবে ওটা সেই মজাদার অনুভূতিরই অংশ বিশেষ।'
কেশার দাবি, 'আমি ওর নাম জানি না। এটুকু বলতে পারি, ও ভূত।' সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই নাকি পরে তার গাওয়া 'সুপারন্যাচারাল' হিট গানটি তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০১ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-০৯