‘বালিকা বধূ’ সিরিয়ালের আনন্দী চরিত্রের রূপদানকারী প্রত্যুষা ব্যানার্জিকে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করেছিলেন বয়ফ্রেন্ড রাহুলরাজ সিং! এমনটাই দাবি করেছেন প্রত্যুষার অভিভাবকের আইনজীবী নীরজ গুপ্তা। আত্মহত্যার আগে রাহুলকে ফোন করেছিলেন প্রত্যুষা। তিন মিনিটের সেই কথোপকথন থেকেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন গুপ্তা।
তিন মিনিটের সেই কথোপকথনে প্রত্যুষা গালিগালাজ করে রাহুলকে বলেন, ‘আমি এখানে নিজেকে বেচতে আসিনি। আমি অভিনয় করতে এসেছিলাম। আমায় তুমি কোথায় নামালে! রাহুল, তুমি জানো না, আমার কতটা খারাপ লাগছে।’ পরে ফোনে ‘প্রস্টিটিউশন’ শব্দটিও ব্যবহার করেন প্রত্যুষা।
একথা শুনে ফোন কেটে দেন রাহুল। এর পর ফের তাকে ফোন করেন প্রত্যুষা। তিনি আরও বলেন, ‘তুমি স্বার্থপর। তুমি আমার নাম খারাপ করছো। মানুষ আমার সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে। আমার মা, বাবাকে সবার চোখে খারাপ করেছ। রাহুল আমি শেষ। আমি মরে গেছি।’ রাহুল পাল্টা তাকে বলেন, ‘কিচ্ছু করো না। আমি আধ ঘণ্টায় আসছি।’ প্রত্যুষা তার জবাবে বলেন, ‘আধ ঘণ্টায় সব শেষ হয়ে যাবে।’
ওই দিনই ১ এপ্রিল নিজের গোরেগাঁওয়ের ফ্ল্যাটে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রত্যুষা। রাহুল বাড়ি ফিরে তার ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে আন্ধেরির এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। রাহুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর করেন প্রত্যুষার মা সোমা ব্যানার্জি। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে রাহুলকে। আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/৬ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-৭