সালমান খান মুখ খুললেই শুরু হয় বিতর্ক। গাড়ি চালালে হয় দুর্ঘটনা। তবু সালমান খানকে ঘিরে তার ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। ঘুম থেকে সকালে ওঠা তার সাথে যায় না। প্রায় প্রতি দিনই থাকে রাত পর্যন্ত পার্টি। তাই অন্তত সকাল ৮ টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না সালমান। উঠেই খেয়ে নেন প্রোটিন শেক। তারপর কাচের গ্লাসে চা পর্ব সারেন। এর মাঝে নিজ সহকারীর কাছ থেকে দেখে নেন সারা দিনের কাজের ফিরিস্তি।
এর পর শুরু হয় শারীরিক কসরত। যত যাই ঘটুক, এটা বাদ যায় না তার। নিজের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টেই বড়সড় জিম তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। সব যন্ত্রপাতি আনিয়েছেন বিদেশ থেকে। সব কিছুই আছে এই জিমে। মাঝেমধ্যে আরেক বলিউড তারকা ঋত্বিক রোশনও আসেন সেই জিমে। এই গ্যালাক্সির একটা ফ্ল্যাটে থাকেন সালমান। ওপরের ফ্ল্যাটে থাকেন ভাই সেলিম খান। এই আবাসনেরই অন্য ফ্ল্যাটে থাকেন সালমানের সৎ মা হেলেন।
রোজ জিমে ঘাম ঝরিয়ে ব্রেকফাস্ট করেন সালমান। নামেই ব্রেকফাস্ট করেন তিনি। খান শুধু সেদ্ধ সবজি আর এক টুকরো পাউরুটি। তাও মাখন, চিজ ছাড়া। তবে মাঝেমধ্যে পাউরুটিতে মধু বা দুধের সর লাগিয়ে খান। শুটিং থাকলে বেরিয়ে পড়েন। নয়তো প্রযোজক, বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে মিটিং। নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বিয়িং হিউম্যান’–এর হিসেবনিকেশও নিজেই দেখেন। শুটিং থাকলেও এর ব্যতিক্রম হয় না।
নিজের ভ্যানিটি ভ্যানেই এই কাজ সারেন সালমান। সঙ্গে মধ্যাহ্ণভোজও। দুপুরেও মেপেই খান তিনি। লবণ ছাড়া সেদ্ধ চিকেন, স্যালাদ আর দই। বিগ বসের শুটিং থাকলে কিন্তু দিনটা একটু চাপেই কাটে তার। বিকেলে শুধু চা আর ক্রিম ক্যাকার বিস্কুট। রাতে সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ। আর স্যুপ। সারা সপ্তাহ কাজ করলেও রবিবার তিনি ছুটি নেবেনই। ওই দিনটা তিনি কাটান অনাথ আশ্রমের শিশুদের সঙ্গে।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ নভেম্বর,২০১৬/তাফসীর-১৬