ডিভোর্স চেয়ে দিন কয়েক আগেই নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী ওরফে অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে। সম্প্রতি ঈদ পালনের জন্য উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়িতে চলে গেছেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। তাকে পাঠানো নোটিশেরও কোনও জবাব দেননি তিনি। কিন্তু কেনই বা ১০ বছরের দাম্পত্যে ফাটল ধরল? কী এমন হল যে বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে হচ্ছে আলিয়া সিদ্দিকীকে? অভিনেতা চুপ থাকলেও মুখ খুলেছেন তার স্ত্রী।
আলিয়া সিদ্দিকী জানান, বেশ কিছু বছর ধরেই তাদের বিবাহিত জীবন সুখের যাচ্ছিল না। অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে তাকে। কিন্তু সে সব ঘটনার বেশিরভাগই প্রকাশ্যে বলা তার পক্ষে অস্বস্তিকর। লকডাউনের এই দীর্ঘ সময়ে তার সঙ্গে ঘটা প্রতিটি ঘটনা নিয়ে ভাববার সময় পেয়েছেন তিনি। অবশেষে বুঝতে পেরেছেন এই বিয়ে টিকিয়ে রাখার আর কোনও মানে নেই।
আলিয়া সিদ্দিকী আরও জানান, কোথাও না কোথাও গিয়ে তার মনে হচ্ছিল আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল তার। এমনকি এই বিচ্ছেদের পিছনে নওয়াজের ভাই শামাসও যে একটি কারণ, সে কথাও জানিয়েছেন অঞ্জনা।
আলিয়া সিদ্দিকী বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে আমি জানি না। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার পক্ষে এই বিয়ে বয়ে নিয়ে যাওয়া আর সম্ভব হচ্ছিল না।
নওয়াজকে বিয়ে করার পর নিজের নাম এবং ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের পূর্ব নাম অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডেতেই ফিরে গিয়েছেন তিনি। অঞ্জনা এবং নওয়াজের দুই সন্তান রয়েছে। অঞ্জনা বলেন, ছোটবেলা থেকে ওদের বড় করেছি আমি । তাই অবশ্যই আমি চাইব আমার সন্তানেরা আমার সঙ্গে থাকুক।
নওয়াজ যদি চিঠির জবাব না দেন, সে ক্ষেত্রে অন্য ভাবেও ভাবতে হবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে ঈদ পালনের জন্য মুজফফরনগরে গিয়ে আপাতত ১৪ দিনের হোম কোয়রেন্টাইনে রয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। গতকাল টুইটারে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, কিছু দিন আগে আমি আমার বোনকে হারিয়েছি। তার পর থেকেই মায়ের শরীর খারাপ। সে জন্যই উত্তরপ্রদেশ আসতে হয়েছে আমাকে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা