ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর বসছে ঢাকায়। ২০২৫ সালের ১১ থেকে ১৯ জানুয়ারি নয় দিনব্যাপী চলবে এটি। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে এবারের স্লোগান ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ।’
বরাবরের মতো ভেন্যু হিসেবে রয়েছে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমি, রাশিয়ান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন।
উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ও উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও রুচিসম্পন্ন ও ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এই উৎসব ব্যাপক অবদান রাখবে বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, উৎসবে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো সার্টিফিকেশন বোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শনীর অনুমতিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখানে বিশ্বের প্রখ্যাত সিনেমা নির্মাতাদের সব নতুন সিনেমা দর্শকদের উপহার দেওয়াই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। আয়োজনে থাকছে ৭০ দেশের ২২০ সিনেমা।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ আসরে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউটস, বাংলাদেশ প্যানোরামা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্যা ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম সেশন-এ সিনেমা প্রদর্শিত হবে।
আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, ২৩তম উৎসবের বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে এখন পর্যন্ত ৮টি সিনেমা চূড়ান্ত হয়েছে। এগুলো হলো— কুসুম সিকদারের ‘শরতের জবা’, মেহেদী রনির ‘এখানে নোঙর’, ধ্রুব হাসানের ‘ফাতিমা’, নিয়ামুল হাসান মুক্তার ‘রক্ত জবা’, ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘বলী’, তানভীর মুহাম্মদের ‘বাতাসের ফেনা’, বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’ ও তৌফিক এলাহির ‘নীলপদ্ম’।
এ ছাড়া দেশের প্রায় ৪০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাও দেখানো হবে উৎসবে। এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে রয়েছে, ‘ড্রিমিং অ্যান্ড ডায়িং’ (ইন্দোনেশিয়া-সিঙ্গাপুর), ‘হোয়েন দ্য ওয়ালনাট লিভস টার্ন ইয়েলো’ (তুরস্ক), ‘ডিল অ্যাট দ্য বর্ডার’সহ (কিরগিস্তান) আরও কিছু সিনেমা।
স্পিরিচুয়াল বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে, ‘কালাচক্র’ (রাশিয়া), ‘রেইজ মি আ মেমোরি’ (এস্তোনিয়া), ‘মন্টে ক্লারজিও’ (পর্তুগাল), ‘আওয়ার মেমোরিজ’ (ফ্রান্স), ‘আওয়ার মাদার’ (ইতালি), ‘৪০০ ক্যাসেটস’সহ (গ্রিস)আরও কিছু সিনেমা।
বিডি প্রতিদিন/আশিক