নব্বইয়ের দশকের কথা। সেই সময় আরব সাগরের পাড়ে তখন আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়াদের রমরমা। বলিউড তারকাদের বাড়িতে প্রায়শই আসতে থাকে হুমকি। এমনই হুমকিতে পড়তে হয়েছিল একাধিক বলিউড তারকাকে। এমনকি নায়িকাদের কাছে আসত শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার প্রস্তাব। সেই টানাপড়েনে পড়ে নাস্তানাবুদ হওয়ার অবস্থা হয়েছিল রাকেশ রোশনের।
ছেলে হৃতিক রোশনের জন্য মাফিয়া গোষ্ঠীর কবলে পড়তে হয় তাকে। সেবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন তিনি। এত বছর পেরিয়ে গিয়েও সেই স্মৃতি এখনও দগদগে। ২০০০ সালে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ যখন মুক্তি পেয়েছিল, সে সময়ই ভয়ানক বিপর্যয় ঘটে রোশন পরিবারে। কী ঘটেছিল?
‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ রিলিজ করতেই রাতারাতি খ্যাতির শিরোনামে পৌঁছে যান হৃতিক। রোশন পরিবার যখন সিনেমার গগনচুম্বী সাফল্যে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই রাকেশ রোশনকে আক্রমণ করে মুম্বাই আন্ডারওয়ার্ল্ড। তাদের মুম্বাই অফিসের বাইরে দুটি গুলি করা হয় রাকেশকে। নিজের বুদ্ধির জোরে প্রাণে বাঁচেন পরিচালক। কোনো মতে প্রাণ হাতে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
কেন মাফিয়াদেন নিশানায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে? সম্প্রতি বর্ষীয়ান পরিচালক বলেন, আমি কোনোদিনই ওদের সেই রকম কোনো ইঙ্গিত দেইনি যে হৃতিক ওদের টাকায় সিনেমায় করবে। আমি বারবার ওদের প্রস্তাব এড়িয়ে যাই। বলি যে, হৃতিকের ডেট ফাঁকা নেই। আদতেও সত্যিই ছিল না তখন। এরপর ওরা আমাকে অন্য প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলে হৃতিকের ডেট ম্যানেজ করার নির্দেশ দেয়। আমি সেবারও অস্বীকার করি।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই অনেক কিছু সহ্য করে চুপ ছিল, তবে ওদের অন্যায় আবদারের কাছে আমি মাথা নোয়াইনি কোনোদিন। এই কারণেই মহা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল রাকেশকে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ