জ্বি আপনিই সেই প্রতিভাবান মানুষ, যাকে আমরা খুঁজছি....
রোদে করোনা ভাইরাস মরে ভূত হয়ে যায় তাই মনের আনন্দে ঘুরতেই থাকবেন!
নিজ এলাকায় হাসপাতাল বানাতে দেবেন না আবার চিকিৎসা না পেলে হা হুতাশ করবেন!
মৃতদেহ কবরস্থানে আনলে তা পুলিশের ঘাড়ে ফেলে চলে যাবেন!
সোশ্যাল ডিস্টেন্স তথা সামাজিক দূরত্ব মানবেন না বরং ইঞ্চি ইঞ্চি লাগোয়া হয়ে চলাফেরা করবেন!
বিকাল থেকেই মোড়গুলোতে আড্ডা দেবেন আর চোর, পুলিশ খেলবেন!
মাস্ক পড়তে বললে ভেংচি কাটবেন!
করোনা থেকে মুক্তি পেতে কখনো খাবেন থানকুনি পাতা আবার কখনো রোদের কারণে তা বাংলাদেশে ছড়াবেনা বলে চিল্লায় বলবেন, ঠিক না বেঠিক!
নিজের বয়স্ক আত্মীয়-স্বজনকে ইচ্ছেমত বাইরে যেতে দেবেন।
শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে বিধায় প্রতিবেশীরা কি করছেন তার একটু খোঁজ, খবর নেবেন- দায়িত্ব তো মাশাআল্লাহ আপনিই কাঁধে তুলে নিয়েছেন!
কেউ প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করলে তার চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করবেন!
বিদেশ ফেরত হয়ে জনতার উদ্দেশ্যে মোহাব্বতের ঝাঁপি নিয়ে উড়ে উড়ে বেড়াবেন!
সন্ধ্যা নামলে ঈদ পূর্ববর্তী আনন্দে মেতে উঠার উল্লাসে ফেটে পড়বেন!
দল বেঁধে ক্রিকেট খেলবেন কারণ আপনার মাঝেই লুকিয়ে আছে আগামীর মাশরাফি আর সাকিব!
কোনো ধরণের সাবধানতা অবলম্বন না করে বলবেন আল্লাহই আমাকে বাঁচাবে অথচ যেখানে স্পষ্টতই বলা আছে যে, "আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন, যে নিজে নিজেকে সাহায্য করে"।
সবকিছু করা শেষ হলে, সবশেষে বলবেন রাষ্ট্র করোনা নিয়ে তথ্য গোপন করছে! আই মিন সিরিয়াসলি লজ্জা হয় না আপনাদের? মানে বুঝাতে চাচ্ছি, আপনি আয়নায় নিজের চেহারা দেখে লজ্জা পান না!
বিশ্বে এতো হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু যেখানে আপনাদের টনক নড়াতে পারেনা সেখানে আর কারা পারবে?
এখন আমিও অনুভব করি, আমাদের নিজেদের আল্লাহ তায়ালার কাছে সবকিছু ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় আসলে নেই! অপ্রয়োজনে আপনাদের ঘর থেকে বাহির হওয়ার যে পরিমাণ দেখছি তাতে এটাও বলতে পারছি না
"এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা করো"
এতো প্রতিভা নিয়ে কিভাবে ঘুমান আপনারা, বালিশের কষ্ট হয় না !?
জেগে জেগে ঘুমাতে থাকুন দয়া করে, খেয়াল রাখবেন এই ঘুম যেন শেষ ঘুম না হয়ে যায় আমাদের!
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন), ওয়ারী বিভাগ, ডিএমপি, ঢাকা।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত