সহজে ধ্বংস হবে না এবং দেহ নমনীয় এমন এক রোবট তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ধসে পড়া ভবনের নিচের সংকীর্ণ পথ দিয়ে অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারবে রোবটটি এবং অতি বৈরী পরিবেশে উদ্ধার কাজসহ নানা তৎপরতায় সহায়তা করতে পারবে এটি।
আগুনে পোড়ে না, হিমাংকের নিচের হাড় জমানো ঠাণ্ডায় জমে যায় না বা গাড়ি চাপা দেয়ার পরও ‘মরে’ না- এ রকম রোবটটি তৈরি করেছেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইকেল টোলির নেতৃত্বে একটি দল।
পরীক্ষামূলকভাবে রোবটটি লম্বায় মাত্র ৬৫ মিলিমিটার। মাইনাস ৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের হাড় জমানো ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে প্রবল তুষার ঝড়ের মধ্যেও এটি অনায়াসে হেঁটেছে। আগুনের শিখার ধকল সহ্য করেছে ২০ সেকেন্ড এবং পানি ও অ্যাসিড এর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। গাড়ি চাপা দিয়েও এ রোবটকে ধ্বংস করা যায়নি। রোবটের দেহ নিয়েই কেবল এমন চরম পরীক্ষা চালানো হয়েছে। রোবটটি পরিচালনার জন্য যে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা তা আলগাভাবে লাগানো থাকায় এ সব পরীক্ষায় তা ব্যবহার করা যায়নি।
অবশ্য টোলি বলেন, রোবটটির নমনীয় দেহের ভেতর বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবস্থা বসিয়ে দেয়ার কাজটি করা যাবে অনায়াসেই। দেহটি সব ধকল সহ্য পারে কিনা প্রথমে সেটাই যাচাই করাই একান্ত প্রয়োজন ছিল।
এ গবেষণার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের নমনীয় রোবট তৈরির পথ সুগম হলো বলে মনে করছেন টোলি ও তার সহ-গবেষকরা।