শনিবার, ১০ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

অতিরিক্ত চার্জের খড়গ, চট্টগ্রাম বন্দরে ফের উৎকণ্ঠা

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর 'চট্টগ্রাম বন্দর' আমদানিকারকদের ফের উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ পণ্য খালাসে অতিরিক্ত চার্জ। ড্রাইপোর্টগুলো পণ্য খালাসে এই অতিরিক্ত চার্জ আদায় করছে। কন্টেইনার ক্লিনিং চার্জের নামেও নতুন খরচের বোঝা পড়ছে আমদানিকারকদের ঘাড়ে। এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাড়তি খরচের চাপে সৃষ্ট পণ্য জট সৃষ্টির শঙ্কা ব্যাংক ঋণের সুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের সামগ্রিক 'সাপ্লাইচেইন' বা সরবরাহ গতিধারা ভেঙে দেওয়ার উপক্রম সৃষ্টি করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে ১৩টি অফডক বা ড্রাই পোর্ট রয়েছে। আমদানিকারকদের সুফল দিতে এগুলোর সৃষ্টি করা হলেও হয়েছে উল্টোটা। এদিকে নির্মাণের সাত বছর পরও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) টেন্ডারের মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করতে না পারায় চরম অসন্তুষ্ট চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহারকারীরা। এর টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কে মামলার জালে আটকে গেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

ইয়ার্ড বা কন্টেইনার অপারেটরদের অভ্যন্তরীণ মামলা জটিলতাও রয়েছে। এমন অবস্থায় আগের মতো চবক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনসিটিও পরিচালনার তাগিদ রয়েছে সরকারসহ ব্যবহারকারীদের একটি পক্ষের।

বন্দর আসনের এমপি ও চিটাগাং পোর্ট ইউজার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ বলেন, এ কথা সত্য যে নিকট অতীতে দুর্বিষহ পণ্য জট পরিস্থিতি এখন নেই। তবে নানা কারণে ব্যবসায়ীদের মাঝে থাকা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম 'কন্টেইনার ক্লিনিং চার্জ এবং বেসরকারি পোর্ট বা অফ ডকগুলোতে কন্টেইনার খালাসের ক্ষেত্রে বাড়তি চার্জে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বন্দর উন্নয়নের কাজ করা পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতির কাঙ্ক্ষিত ধারা নেই। সাত বছরেও এনসিটি নিয়ে অগ্রগতি না আসা, অপারেটরগুলোর মামলাসহ নানা কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আরও কয়েকজন বন্দর ব্যবহারকারী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর