ময়মনসিংহের নান্দাইলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে শাসক দল আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূইয়ার বড় ভাই আবুল মনসুর ভূইয়া (৬০) নিহতের ঘটনায় উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। গোটা নান্দাইলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল বাদ আসর উপজেলার চণ্ডীপাশা সরকারি স্কুল মাঠে আবুল মনসুর ভূইয়ার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়। এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন তুহিনকে দায়ী করেছেন নিহতের ভাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এমপি তুহিনের নির্দেশেই সন্ত্রাসী জুয়েলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক চৌধুরী স্বপনও দায়ী। সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া জানান, বৃহস্পতিবার নান্দাইল পৌর আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশে এমপি তুহিন ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপনের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। জুয়েলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে চলে যায়। পরে রাত ৯টায় আবুল মনসুর ভূইয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিরাজুল। তার মতে, পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমাদের লোকজনের ওপর রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ইচ্ছা করলে আমার ভাইকে বাঁচাতে পারত। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদিন তুহিন বলেন, ঘটনার সময় আমি সংসদে ছিলাম। আমি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইউএনও এবং ওসিকে বলেছিলাম ১৪৪ ধারা জারি করতে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন আমার কথা শোনেনি। আমার গায়ে কালিমা লেপনের জন্যই একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।