সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

শিক্ষামন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ

শিক্ষামন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিপ্রার্থী সব শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ভর্তির আওতায় আনতে চেয়েছি। এটি ছিল একটি ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। এ কাজে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর বড় কাজ করতে গেলে ছোটখাটো ভুল হতেই পারে। তবে এটি হোক তা আমরা চাই না। এটি উন্নয়নের সমস্যা, উন্নয়নের বেদনা।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ জাতির কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনারা ক্ষমাসুন্দরভাবে বিষয়টি দেখবেন। একই সঙ্গে জানাচ্ছি, যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেনি তারা আজ থেকে আগামী ২১ দিন পর্যন্ত কোনো রকম বিলম্ব ফি ছাড়াই সুযোগ পাবে ভর্তি হওয়ার। অর্থাৎ ২৬ জুলাই পর্যন্ত তারা বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি হতে পারবে।’ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি জটিলতা নিয়ে গতকাল সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক ভর্তিপ্রার্থীই পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। এক কলেজের নামের জায়গায় অন্য কলেজ চলে এসেছে। ছেলেদের কলেজে মেয়েদের নাম এসেছে। এসব সমস্যার কারণে কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সবাই ভর্তি হতে পারবে। বিলম্ব ফি ছাড়া আগামী ২১ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তি হতে পারবে। ফল প্রকাশে মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে কোনো সমন্বয়হীনতা ছিল না দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব।’ সচিবের সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য নেই দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে। বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। এটা স্বাভাবিক।’ নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, মোট চার ধাপে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম মেধাতালিকার পর ৬ জুলাই (আজ) দ্বিতীয় মেধাতালিকার ফল প্রকাশ করা হবে। তারা ৭ ও ৮ জুলাই ভর্তি হবে। যারা মেধাতালিকায় সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়নি বা নির্বাচিত হয়নি, তারা আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে কোনো ফি ছাড়াই পাঁচটি কলেজে ৯ ও ১০ জুলাই আবেদন করতে পারবে। ১১ জুলাই এ আবেদনের ফল প্রকাশিত হবে এবং ১২ জুলাই তারা ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। এর পরও যারা ভর্তি হতে পারেনি বা অনলাইনে আবেদন করেনি, তারা কোনো ফি ছাড়াই ১৩ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। ২৩ জুলাই এ আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। ২৫ ও ২৬ জুলাই তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। ভর্তির ভোগান্তিকে ‘উন্নয়নের বেদনা’ বলে অভিহিত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কম ঢাল-তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধে নেমেছি। আমাদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা, সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত, এবারের মতো সমস্যা ভবিষ্যতে থাকবে না।’ তিনি জানান, ১১ লাখ ৫৬ হাজার ২২৪ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেছিল। এ পর্যন্ত ৯ লাখ ২৩ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতি চালু করায় ভর্তিবাণিজ্য, কোচিং-বাণিজ্যসহ ভর্তি নিয়ে অতীতের সব দুর্ভোগ ও দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি মন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বে স্পেসিফিকালি টি-টোয়েন্টি খেলছি। শুধু টি-টোয়েন্টি না, টি-টোয়েন্টির লাস্ট ওভার খেলছি। ছক্কা মারার চেষ্টা করছি।’ সচিব বলেন, ছক্কা মারতে গেলে অনেক সময় আউট হয়। সেটি হতে পারে। -নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ খবর