আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বাস্তবায়নে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ (রাজস্ব) আহরণ, সম্পদ বণ্টন ও এর সঠিক ব্যবহারে সরকারের নজরদারি বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ— সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে যুক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) শক্তিশালীকরণ ও এনফোর্সমেন্ট বাড়ানো এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা প্রয়োজন বলেও মনে করেন বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ। নতুন অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো, ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল শক্তিশালী করে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার বন্ধে সরকারের উদ্যোগ প্রয়োজন। তার মতে, কর ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে কালো অর্থনীতির আকার বাড়ছে। বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যক্তিপর্যায়ে কালো টাকা ও সম্পদকে অর্থনীতিতে ধরে রাখার জন্য বেনামি সম্পদ বিল প্রণয়ন করা যেতে পারে। প্রতিবেশী ভারতে ১৯৮৮ সালের বেনামি ট্রানজেকশন (প্রহিবিশন) আইন বাস্তবায়িত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় এবং এ-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি উদ্যোগ নিতে পারে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেগা প্রকল্পের বাজেটে যেন সুশাসন নিশ্চিত করা হয়। বাজেটের ঘাটতি অর্থায়ন যেন পাইপ লাইনে থাকা বৈদেশিক সাহায্য দিয়ে মেটানো হয়। তার মতে, বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমছে। শিক্ষা খাতে জিডিপি অনুপাতে বরাদ্দের হার বাংলাদেশে ১৬১টি দেশের ১৫৫তম। আর স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৮৯তম। এ বিষয়গুলো নতুন অর্থবছরে বিবেচনায় নিয়ে সুষম বাজেট বরাদ্দ থাকা চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এই শিক্ষক বাজেটে অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে বলেন, প্রবৃদ্ধির গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কর্মসংস্থান হয়, উৎপাদনশীলতা বাড়ে। মানুষের কাছ থেকে নেওয়া করের অর্থ কোথায় ব্যবহূত হচ্ছে, সেদিকে নজর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গরিব মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামাজিক নিরাপত্তায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তার মতে, বাংলাদেশের ৭ শতাংশের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে নতুন কর্মসংস্থানের প্রতিফলন নেই। এতে প্রবৃদ্ধির ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে বাড়েনি, বরং কমেছে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের পরের দুই বছরে সাত লাখের মতো নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। শিক্ষিত ব্যক্তিরা তুলনামূলক কাজ কম পাচ্ছেন। বছরে মাত্র সাড়ে তিন লাখের মতো নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। কিন্তু আগের ১০ বছরে প্রতি বছর গড়ে সাড়ে ১৩ লাখের বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। গত দুই বছরে শিল্প খাতে দুই অঙ্কের হারে প্রবৃদ্ধি হলেও এ খাতে ১২ লাখের মতো কর্মসংস্থান কমেছে। এ ধরনের দুর্বল কর্মসংস্থানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দেশের উন্নয়ন-প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।
শিরোনাম
- গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- ক্যান্সার আক্রান্তদের পাশে রোটারী
- গণভোটের প্রস্তুতি নিতে ইসিকে সরকারের চিঠি
- দেশের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
- কুমিল্লায় অভিযান চলাকালে পুলিশের ওপর হামলা
- স্টার্কের ডেলিভারিতে দগ্ধ ইংল্যান্ড, হেডের ব্যাটে লেখা জয়গাথা
- বাজি ধরে না চিবিয়ে পুরো বার্গার গেলার চেষ্টা, যুবকের করুণ মৃত্যু
- অ্যাশেজে মাত্র দুই দিনেই ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া
- ‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
- ফেব্রুয়ারিতে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
- মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩
- বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক পুনর্গঠনে ‘সঠিক পথ’ বেছে নেবে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থীর মতবিনিময়
- ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
- বাস–ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষ, একই পরিবারের চারজন নিহত
- বোলিং পিচে হেডের ঝড়, ইতিহাস গড়ে সেঞ্চুরি
- বরগুনায় ৪ ভুয়া চিকিৎসক আটক
- সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
- সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা
- মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা