মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঝিনাইদহে আরও দুই খুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে গতকাল দুপুরে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের একজন ক্লিনিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৪১) এবং অপরজন সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আলফাজ উদ্দিন (৫৪)। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাইভাঙ্গা মাঠে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে ক্লিনিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা  গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান লুত্ফর রহমানের ছেলে। জানা গেছে, ২০ বছর আগে তার বাবা লুত্ফর রহমানকেও সন্ত্রাসীরা নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে গলা কেটে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করে। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, ক্লিনিক মালিক নজরুল ইসলাম তিওরবিলা গ্রামে তার বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে আসেন। এরপর তিনি মোটরসাইকেল যোগে হরিণাকুণ্ডু শহরে যাচ্ছিলেন। তিনি তিওরবিলা গ্রামের সাইভাঙ্গা মাঠের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা গতিরোধ করে। এরপর তাকে গুলি করে ও পরে গলা কেটে হত্যা করে।

অপর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানা গেছে, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাসাহাটিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আলফাজ উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে তার ভাতিজা ও ভাগ্নেরা। এ সময় বাধা দিতে গেলে সোলাইমান, ড্যানি ও শফিউদ্দীন নামে আরও তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আলফাজ উদ্দিন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত সাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই মামলার আসামি ছিলেন আলফাজ, তার ভাতিজা ও ভাগ্নেরা।

হত্যা মামলায় হাজিরার দিন ছিল গতকাল সোমবার। কিন্তু হাজিরা দিতে দেরি করায় ভাতিজা আকরাম হোসেনকে চাচা আলফাজ মারধর করেন। এরই জের ধরে হাজিরা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়িতে ফিরে ভাতিজা আকরাম একই গ্রামের ফুফাতো ভাই হাবিবুর ও সাইফুলকে সঙ্গে নিয়ে চাচার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা আলফাজকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি মাহতাব উদ্দিন জানান, পারিবারিক ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর