বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইউপি চেয়ারম্যান হত্যার দুই আসামি নিহত

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের গোপালপুর নামক স্থানে পুলিশের গুলিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে বন্দুকযুদ্ধ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতদের পরিবারের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা।

নিহত সোহেল রানা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি। তিনি ভাদশা ইউনিয়নের ছাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। আর তার সহযোগী নিহত মনিরুজ্জামান মনির কোঁচকুড়ি গ্রামের লুত্ফর রহমানের ছেলে। জয়পুরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, সন্ত্রাসীদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত সদর উপজেলার ভাদশা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদের বাড়িতে হামলার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী কোঁচকুড়ি-গোপালপুর এলাকায় সমবেত হয়েছে— এমন খবরে গতকাল ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে নিহতদের লাশ জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আহত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেনকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর অপর দুই পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিহত মনিরুজ্জামান মনিরের চাচা আবদুস সালাম বলেন, ‘৮ জুন রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে মনিরকে বাসা থেকে উঠিয়ে আনা হয়। এরপর থানা ও ডিবি কার্যালয়ে তার সন্ধান চাইলে তারা মনিরকে তুলে আনার বিষয়টি অস্বীকার করেন। একসময় থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার মনিরকে আপনাদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। তবে আজ মনিরকে আমরা পেয়েছি লাশ হিসেবে। মনির বিভিন্ন স্থানে হাউজির কলারম্যান হিসেবে কাজ করতেন।’ অপর নিহত যুবক সোহেল রানার বাবা নূরুল ইসলাম বলেন, ‘৮ জুন তার বাড়ি থেকে সোহেলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও আজ তার লাশের খবর পেলাম। সে নির্দোষ ছিল।’ উল্লেখ্য, ৪ জুন স্থানীয় দুর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি কোঁচকুড়ি গ্রামে ফেরার পথে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এ কে আজাদসহ নয়ন নামে স্থানীয় এক যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর জখম করে। পরে রবিবার ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ। এ ঘটনায় বাদী হয়ে এ কে আজাদের ছোট ভাই এনামুল হক ১২ জনকে আসামি করে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা করেন। ওই ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গতকাল এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটল।

সর্বশেষ খবর