জঙ্গি দমনে সরকারের সাঁড়াশি অভিযানের পক্ষে ভারতের সমর্থন দেওয়ার খবরে উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপি বলেছে, প্রতিবেশী দেশটি ‘অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে’ সমর্থন না দিয়ে ‘গণতন্ত্রকামী জনগণের’ পক্ষে থাকবে। এটাই আশা করে বিএনপি। গতকাল এক বিক্ষোভ সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করে বলেন, পত্র-পত্রিকায় উঠেছে—আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশের সরকার জঙ্গি দমনে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত নিঃসন্দেহে শুধু বাংলাদেশের প্রতিবেশী নয়, অকৃত্রিম বন্ধুও। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব সময় প্রত্যাশা করি, ভারত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সঙ্গেই থাকবে। নিশ্চয়ই এমন কোনো শক্তি বা সরকারকে প্রশ্রয় দেবে না বা সহযোগিতা করবে না, যারা বাংলাদেশের মানুষের ওপর চড়াও হয়ে এসেছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সারা দেশে ‘গণগ্রেফতারের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমান সরকারকে ‘অনির্বাচিত’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাভাবিকভাবে এদেশের জনগণের প্রত্যাশা সব গণতান্ত্রিক দেশ যারা গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই-সংগ্রাম করছে তাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মহানগর নেতা কাজী আবুল বাশার, বজলুল বাসিত আনজু, ইউনুস মৃধা, ওলামা দলের মাওলানা আবদুল মালেক, যুবদলের আবদুল খালেক, জামিলুর রহমান নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের লিটন মাহমুদ ও মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জঙ্গি দমনের নামে সারা দেশে এক সপ্তাহের অভিযানে ১৩-১৪ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ?পুলিশ এখন বলছে, এখানে চিহ্নিত সন্দেহভাজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছেন ১৭৯ জন। তাহলে বাকিরা কারা? বাকিদের তাহলে কেন ধরলেন? আসলে এই গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে তারা (সরকার) বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে চেয়েছে। তারা গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের উত্থান বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন এ অভিযানের নাম করে শক্ত হাতে আমাদের দমন করছে। বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিপক্ষ ঘোষণা করে দেশের মানুষের ওপরেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সভাপতির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণে আওয়ামী লীগকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ভারত। বন্ধুত্বে ছোট ভাই, বড় ভাই নয়, থাকবে সমতা ও সমঅধিকার। সম্পর্ক হবে দেশের মানুষের সঙ্গে মানুষের, দেশের সঙ্গে দেশের। বিশেষ কোনো ব্যক্তির সঙ্গে নয়।
শিরোনাম
- নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
- ‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
- শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
- বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
- তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
- মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
- তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
আওয়ামী লীগ নয় জনগণের পাশে থাকবে ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর