শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

ঈদে রক্তাক্ত শোলাকিয়া

দুই পুলিশ সদস্য ও ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারী নিহত । হামলাকারী এক জঙ্গি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
ঈদে রক্তাক্ত শোলাকিয়া

ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় সশস্ত্র হামলার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঈদের দিন রক্তাক্ত হলো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া। বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য যখন দেশের সর্ববৃহৎ এই ঈদগাহের দিকে মানুষের স্রোত, ঠিক তখনই সন্ত্রাসীরা দায়িত্বরত পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাধে সন্ত্রাসীদের। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ চারজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন গৃহবধূ রয়েছেন, যিনি ঘরের ভিতর গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। নিহত অন্যজন হামলাকারী। আহত হন ১২ জন, যাদের অধিকাংশই পুলিশ।

নিহতরা হলেন কনস্টেবল জহুরুল হক (৩০) ও আনসারুল (৩৫), গৃহবধূ ঝরনা রানী ভৌমিক এবং হামলাকারী আবীর রহমান (২২)।

আহত পুলিশ সদস্যদের প্রথমে কিশোরগঞ্জ এবং পরে গুরুতর ছয়জনকে হেলিকপ্টারে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) পাঠানো হয়। হামলার পর নির্দিষ্ট সময়েই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও শোলাকিয়ার ঈদগাহ মাঠে যেতে পারেননি অনেকেই। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলশানে হামলাকারী জঙ্গিরাই শোলাকিয়ায় হামলা চালিয়েছে।

ঈদের সকালে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনায় শোলাকিয়া মাঠের ঈদ জামাতে অংশ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কথা ছিল, বরাবরের মতোই মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ঈদের জামাত পরিচালনা করবেন। কিন্তু এই গোলযোগের মধ্যে তিনি না পৌঁছানোয় শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বড়বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শোয়াইব আবদুর রউফের ইমামতিতে শোলাকিয়ার ঈদ জামাত হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের টার্গেট ছিল ঈদের জামাত ও শোলাকিয়ার মূল ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। সেই টার্গেট নিয়েই তারা এগোচ্ছিল। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই পুলিশের প্রাণের বিনিময়ে ব্যর্থ হয়ে গেছে শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের টার্গেট। আর সন্ত্রাসীরা সফল হলে শোলাকিয়া হতো এক মৃত্যুপুরীর নাম। ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলাকারী চক্রটিই শোলাকিয়া ঈদগাহর পাশে হামলার ঘটনায় জড়িত। পুলিশের দক্ষতা ও নিরাপত্তা জোরদার থাকায় আমরা অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছি। সহিংসতার খবর ঈদগাহ মাঠে পৌঁছলেও অনেক মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যেত।’

কিশোরগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার ওবায়দুল হাসান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শোলাকিয়া মাঠের আড়াইশ’ মিটারের মধ্যে আজিমুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর বেলা ৩টার দিকে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকার আশপাশে অভিযানে নামে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে আসা র‌্যাবের কমান্ডো টিম। তাদের সঙ্গে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল টিমও অভিযানে ছিল। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য এলাকাটি ঘিরে রাখেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি চাপাতি উদ্ধার এবং আহত অবস্থায় দুই সন্ত্রাসীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার আবদুল হাইয়ের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে আবু মোকাত্বিল (২২) ও কিশোরগঞ্জের পশ্চিম তারপাশা এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে জাহিদুল হক (২০)। অন্যজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় শোলাকিয়ার ঈদ জামাত শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। কিন্তু ভোর থেকে হাজার হাজার মুসল্লি পায়ে হেঁটে শোলাকিয়ার দিকে আসতে থাকেন। রাস্তার দুই পাশে এবং মাঠের আশপাশে অবস্থান নেন র‌্যাব-পুলিশের কয়েক হাজার সদস্য। আগেই শহরে মাইকিং করা হয়েছিল নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিরা যেন জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না আনেন। সে অনুযায়ী মাঠে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ মুসল্লিদের তল্লাশি করছিল। সকাল পৌনে ৯টার দিকে শোলাকিয়া ঈদগাহর ওপর দিয়ে একটি হেলিকপ্টার চক্কর দেয়। এ সময় শোলাকিয়ার মাইকে বলা হয়, ইমাম সাহেব এসেছেন হেলিকপ্টারে করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মাঠে আসছেন। এর কিছুক্ষণ পরই শোলাকিয়া মাঠের অদূরে শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদের মোড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, মুসল্লি বেশে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সকাল ৯টার দিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পাঁচ-ছয়জনের একটি দলকে তল্লাশি করছিল। এ সময় মুসল্লি বেশে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা প্রথমে বোমা ফাটিয়ে, কুপিয়ে সাত পুলিশ সদস্যসহ আটজনকে গুরুতর আহত করে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম। পরে ময়মনসিংহ সামরিক হাসপাতালে মারা যান অন্য পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল ইসলাম।

এদিকে ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে আসার পরপরই একই এলাকায় ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা মসজিদ-সংলগ্ন একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ও গুলি চালায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই বাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। বেলা ১১টার দিকে ওই বাড়ি থেকে এক সন্ত্রাসী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বেলা ১২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় র‌্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনী। এর কিছুক্ষণ পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম নূরুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসেন। এর পরই তার নেতৃত্বে শুরু হয় সাঁড়াশি অভিযান।

এক সপ্তাহ আগে জঙ্গিদের অবস্থান : গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা সপ্তাহখানেক আগেই কিশোরগঞ্জে আসে। হামলাকারীদের মূল টার্গেট ছিলেন শোলাকিয়া মাঠের ইমাম। কিন্তু এর আগে চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের মুখোমুখি হয়ে গেলে কোনো উপায় না দেখে হামলাকারীরা ওখানেই হামলা শুরু করে দেয়। পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর আটক এক সন্ত্রাসী পুলিশকে জানায়, তারা পাঁচজনের একটি দল ২৭ জুন এ অপারেশন চালাতে কিশোরগঞ্জে এসেছে। তবে কার নির্দেশে তারা হামলা করেছে তা এখনো জানা যায়নি।

ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন জঙ্গি : ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। তারা বোমা নিক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে চাপাতি দিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তারা পুলিশ সদস্যদের জখম করে। পুলিশ গুলি চালালে তারাও দ্রুততার সঙ্গে পাল্টা গুলি ছোড়ে। হামলাকারীরা সবাই যুবক বয়সী। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। তারা মুসল্লিদের সঙ্গে মিশে পুলিশের কাছাকাছি চলে আসে এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত হামলা চালায়।

বিশেষ পোশাক : পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলার সময় নিহত জঙ্গি আবীরের পরনে যে পোশাক ছিল, সেখানে চাপাতি রাখার বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। নীল রঙের ওই পোশাকের ভিতর বিশেষ কায়দায় চাপাতিজাতীয় অস্ত্র রাখার পকেট ছিল। হামলাকারীর পরনে ছিল নীল রঙের ঢোলা পাঞ্জাবি ও ঢোলা পায়জামা। পায়জামার ভিতর চাপা জিন্সের প্যান্ট পরা ছিল। চাপাতিজাতীয় লম্বা অস্ত্র রাখার জন্য প্যান্টের মধ্যে কোমর থেকে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত বিশেষ পকেট বানানো ছিল। হামলাকারীদের পরিকল্পনা ছিল, হামলার পর পোশাক পরিবর্তন করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া।

রুখে দিয়েছে পুলিশ : রাজধানীর গুলশানের পর শোলাকিয়ায়ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে জীবন বাজি রাখে পুলিশ। আর এ সাহসের কঠিন মূল্য দিয়ে জীবন দিতে হয়েছে দুই পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল হক (৩০) ও আনসারুল হককে (৩৫)। এ দুই পুলিশের প্রাণের বিনিময়ে ব্যর্থ হয়ে গেছে শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের টার্গেট। সন্ত্রাসীরা সফল হলে শোলাকিয়া হয়তো হতে পারত এক মৃত্যুপুরীর নাম। তারা প্রথমে শক্তিশালী হাতবোমা ছোড়ার পরপরই অ্যাকশনে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় দুজন পুলিশ সদস্য নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। নিহত দুই পুলিশ সদস্যকে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দিয়ে।

এ ঘটনায় মূলত সন্ত্রাসীরা নিজেদের ছক কাটা মিশন সফল করতে পারেনি। আটক দুর্বৃত্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বেরিয়ে আসবে। তবে পুলিশের ধারণা, দেশীয় সন্ত্রাসী বা জঙ্গিরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

নিজ ঘরে গুলিবিদ্ধ ঝরনা : কিশোরগঞ্জ শহরের চর শোলাকিয়া সবুজবাগ এলাকার ভৌমিক নিবাসে কান্নার রোল বয়ে যাচ্ছে। ঈদের দিন জঙ্গি হামলার সময় এ বাড়ির গৃহিণী ঝরনা রানী ভৌমিক নিজ ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী হলেও এ পরিবারটি অসাম্প্রদায়িক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রতি বছর ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে নিজ বাড়ির সামনে জগ ও গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন এ পরিবারের শিশু ও পুরুষ সদস্যরা। তৃষ্ণার্ত মুসল্লিদের পানি পান করিয়েই তারা তৃপ্তি পান। এবারও তেমনটিই করছিলেন তারা। অন্যদিকে ঈদের আনন্দ নিজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করার জন্য রুটি ও সেমাই রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন সনাতন ধর্মের অনুসারী ঝরনা রানী ভৌমিক। ঘড়ির কাঁটায় যখন সকাল পৌনে ৯টা, তখনই ঘটে জঙ্গি হামলার ঘটনা। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালাতে থাকে। একপর্যায়ে ঘরের স্টিলের জানালা ভেদ করে একটি গুলি ঝরনার মাথায় বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তে সয়লাব হয়ে যায় ঘরের মেঝে।

ক্যামেরায় দুই জঙ্গির অ্যাকশন দৃশ্য : শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার সময় দুই জঙ্গির অ্যাকশনের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনাস্থলের পাশে ১৬৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি পাঁচতলা বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ছিল। এতে হামলার দৃশ্য ধারণ করা আছে। ঘটনার পর পুলিশ, র‌্যাব ও সংবাদকর্মীরা এ ফুটেজ সংগ্রহ করেন।

ফুটেজে ধারণকৃত দৃশ্যে দেখা যায়, দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের হাতে একটি পিস্তল ও বোমা। তার পরনে ছাই রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি ও মাথায় টুপি ছিল। নীল রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত অন্য যুবকের হাতে একটি পিস্তল ও একটি চাপাতি ছিল। অস্ত্র নিয়ে তাদের দৌড়াতে এবং হামলা করতে দেখা যায়। দৃশ্যে পুলিশকেও পাল্টা হামলা করতে দেখা যায়। কয়েকজন পথচারীকেও দৌড়াতে দেখা গেছে ফুটেজে। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নীল রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত যুবক নিহত হন। তার নাম আবীর রহমান। অন্যদিকে ছাই রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত যুবক আহত অবস্থায় ধরা পড়েন। তার নাম সাইফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ওরফে মুত্তাদিল (২৭)। তার বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ গ্রামে।

কনস্টেবল আনসারুলের বাড়িতে ঈদ পরিণত হলো শোকে : ঈদের জামাত শুরুর আগে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের কাছে বোমা হামলায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল হকের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায়। ত্রিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলুতপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আনসারুল। সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধ মা রাবেয়া খাতুন ছেলের কথা বলে বলে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্ত্রী লুনা আক্তারও বারবার বেহুঁশ হয়ে পড়েন। আর থেকে থেকে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি এখন কার কাছে যাব! কার কাছে থাকব!’ এভাবেই ঈদের দিন পুরো বাড়িতে সকাল থেকে চলে শোকের মাতম।

সন্ধ্যার পর পুলিশ সদস্যরা দৌলতপুরে নিজ গ্রামে আনসারুলের লাশ নিয়ে পৌঁছান। পুরো বাড়িতে শত শত লোক ভিড় জমিয়েছেন আনসারুলের লাশ এক নজর দেখতে। মিলনবাজার ঈদগাহ মাঠে সম্পন্ন হয় তার দ্বিতীয় জানাজা। পারিবারিক গোরস্থানে আনসারুলের লাশ সমাহিত করা হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খান আবু নাসেরসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার ও বাইরে থেকে আসা অসংখ্য মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। জানা যায়, মৃত সিদ্দিকুর রহমানের চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আতিক একটি দুর্ঘটনায় কয়েক বছর আগে মারা যান। এরপর আতিকের দুই ছেলে, মা আর দুই ভাইকে দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে আনসারুলের ওপর। ২০০৬ সালে আনসারুল পুলিশে যোগ দেন। এরপর কেন্দুয়া উপজেলার পাচাহার কোনাপাড়া গ্রামে বিয়ে করেন। মৃত্যুর সময় নিঃসন্তান ছিলেন আনসারুল।

ফুলবাড়ি : শুক্রবার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা ইউনিয়নের ভাটিপাড়া বালাশর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় অনবরত বিলাপ আর চোখের জল বুকে ফেলে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম তপুর (২৪) মা রোকেয়া খাতুন। তিনি কোনভাবেই মেনে নেতে পারছেন না ছেলের অকাল প্রয়াণ। মৃত্যুর প্রথম দু’দিন তিনি কিছুই মুখে তুলতে পারেননি। তপুর মা রোকেয়া খাতুনের পাশেই বসা ছিলেন বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন। নীরব কান্নায় তারও চোখ ছল ছল করছিল।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তপুর নিজ গ্রামে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) হারুন অর রশিদ, ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রিফাত খান রাজিব, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাদীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেন। জানাযা শেষে বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় পুলিশের এই বীর সেনাকে। এ সময় গোটা এলাকায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

হামলাকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে গোলাগুলির মধ্যে নিহত হামলাকারী যুবক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবীর রহমান (২২)। তিনি চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আবীরের বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম। বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। ঢাকায় তাদের বাসা ভাটারা থানা এলাকায়। আবীরের বড় ভাই আশিকুর রহমান গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখে তাকে শনাক্ত করেন। মার্চ থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে তার বাবা ঈদের আগের দিন ঢাকার ভাটারা থানায় একটি জিডি করেছেন বলে ওই থানার ওসি নুরুল মোত্তাকিন জানিয়েছেন।

ওসি নুরুল মোত্তাকিন বলেন, ৬ জুলাই আবীরের বাবা সিরাজুল ইসলাম ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করেন। ১ মার্চ থেকে আবীর নিখোঁজ ছিলেন বলে তিনি জানান। এতদিন পরে জিডি করার কারণ জিজ্ঞেস করেছিলেন বলে জানান ওসি। জবাবে সিরাজুল ইসলাম পুলিশকে বলেছেন, ‘বিদেশে যাওয়া নিয়ে রাগ করে ছেলে বাসা থেকে বেরিয়েছিল। ও মালয়েশিয়ায় যেতে চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, দুই ভাই অস্ট্রেলিয়ায় থাকে সেখানে যাও। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির পর বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। ভেবেছিলাম, মালয়েশিয়ায় গেছে। নিজেই ফিরে আসবে। কিন্তু গুলশানে হামলার পর মনে সন্দেহ হওয়ায় থানায় এসেছি।’ ২২ বছর বয়সী আবীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারীদের একজন নিবরাস ইসলামও ঢাকার এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনিও কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর
সংসদ ও গণভোট এক দিনে, ইসিকে চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
সংসদ ও গণভোট এক দিনে, ইসিকে চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
নিহতদের পরিবারে মাতম থামছেই না
নিহতদের পরিবারে মাতম থামছেই না
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
৪ উইকেটের অপেক্ষা
৪ উইকেটের অপেক্ষা
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
দুই সমঝোতা স্মারক সই
দুই সমঝোতা স্মারক সই
সর্বশেষ খবর
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

২৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

২৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

৫৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা
কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া
ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ
খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে
শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে
অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম
চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা
ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা

৪ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান
১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে
ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি
অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন

সম্পাদকীয়

শিল্পকলায় ভাসানে উজান
শিল্পকলায় ভাসানে উজান

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

খুলনায় ফের যুবককে গুলি নেপথ্যে মাদক
খুলনায় ফের যুবককে গুলি নেপথ্যে মাদক

পেছনের পৃষ্ঠা

বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

সম্পাদকীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে আট ইসলামি দলের সমাবেশ ৩০ নভেম্বর
রাজশাহীতে আট ইসলামি দলের সমাবেশ ৩০ নভেম্বর

খবর

শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান

সম্পাদকীয়

বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ
বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা