শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

ঈদে রক্তাক্ত শোলাকিয়া

দুই পুলিশ সদস্য ও ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারী নিহত । হামলাকারী এক জঙ্গি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
নিজস্ব প্রতিবেদক ও কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
ঈদে রক্তাক্ত শোলাকিয়া

ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় সশস্ত্র হামলার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঈদের দিন রক্তাক্ত হলো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া। বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের জন্য যখন দেশের সর্ববৃহৎ এই ঈদগাহের দিকে মানুষের স্রোত, ঠিক তখনই সন্ত্রাসীরা দায়িত্বরত পুলিশের ওপর বোমা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাধে সন্ত্রাসীদের। সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ চারজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন গৃহবধূ রয়েছেন, যিনি ঘরের ভিতর গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। নিহত অন্যজন হামলাকারী। আহত হন ১২ জন, যাদের অধিকাংশই পুলিশ।

নিহতরা হলেন কনস্টেবল জহুরুল হক (৩০) ও আনসারুল (৩৫), গৃহবধূ ঝরনা রানী ভৌমিক এবং হামলাকারী আবীর রহমান (২২)।

আহত পুলিশ সদস্যদের প্রথমে কিশোরগঞ্জ এবং পরে গুরুতর ছয়জনকে হেলিকপ্টারে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) পাঠানো হয়। হামলার পর নির্দিষ্ট সময়েই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও শোলাকিয়ার ঈদগাহ মাঠে যেতে পারেননি অনেকেই। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলশানে হামলাকারী জঙ্গিরাই শোলাকিয়ায় হামলা চালিয়েছে।

ঈদের সকালে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনায় শোলাকিয়া মাঠের ঈদ জামাতে অংশ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কথা ছিল, বরাবরের মতোই মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ঈদের জামাত পরিচালনা করবেন। কিন্তু এই গোলযোগের মধ্যে তিনি না পৌঁছানোয় শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বড়বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শোয়াইব আবদুর রউফের ইমামতিতে শোলাকিয়ার ঈদ জামাত হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের টার্গেট ছিল ঈদের জামাত ও শোলাকিয়ার মূল ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। সেই টার্গেট নিয়েই তারা এগোচ্ছিল। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই পুলিশের প্রাণের বিনিময়ে ব্যর্থ হয়ে গেছে শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের টার্গেট। আর সন্ত্রাসীরা সফল হলে শোলাকিয়া হতো এক মৃত্যুপুরীর নাম। ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলাকারী চক্রটিই শোলাকিয়া ঈদগাহর পাশে হামলার ঘটনায় জড়িত। পুলিশের দক্ষতা ও নিরাপত্তা জোরদার থাকায় আমরা অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছি। সহিংসতার খবর ঈদগাহ মাঠে পৌঁছলেও অনেক মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যেত।’

কিশোরগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার ওবায়দুল হাসান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শোলাকিয়া মাঠের আড়াইশ’ মিটারের মধ্যে আজিমুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের ফটকের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর বেলা ৩টার দিকে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকার আশপাশে অভিযানে নামে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে আসা র‌্যাবের কমান্ডো টিম। তাদের সঙ্গে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল টিমও অভিযানে ছিল। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য এলাকাটি ঘিরে রাখেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি চাপাতি উদ্ধার এবং আহত অবস্থায় দুই সন্ত্রাসীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার আবদুল হাইয়ের ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে আবু মোকাত্বিল (২২) ও কিশোরগঞ্জের পশ্চিম তারপাশা এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে জাহিদুল হক (২০)। অন্যজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় শোলাকিয়ার ঈদ জামাত শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। কিন্তু ভোর থেকে হাজার হাজার মুসল্লি পায়ে হেঁটে শোলাকিয়ার দিকে আসতে থাকেন। রাস্তার দুই পাশে এবং মাঠের আশপাশে অবস্থান নেন র‌্যাব-পুলিশের কয়েক হাজার সদস্য। আগেই শহরে মাইকিং করা হয়েছিল নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিরা যেন জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না আনেন। সে অনুযায়ী মাঠে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ মুসল্লিদের তল্লাশি করছিল। সকাল পৌনে ৯টার দিকে শোলাকিয়া ঈদগাহর ওপর দিয়ে একটি হেলিকপ্টার চক্কর দেয়। এ সময় শোলাকিয়ার মাইকে বলা হয়, ইমাম সাহেব এসেছেন হেলিকপ্টারে করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মাঠে আসছেন। এর কিছুক্ষণ পরই শোলাকিয়া মাঠের অদূরে শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদের মোড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, মুসল্লি বেশে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সকাল ৯টার দিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পাঁচ-ছয়জনের একটি দলকে তল্লাশি করছিল। এ সময় মুসল্লি বেশে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা প্রথমে বোমা ফাটিয়ে, কুপিয়ে সাত পুলিশ সদস্যসহ আটজনকে গুরুতর আহত করে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম। পরে ময়মনসিংহ সামরিক হাসপাতালে মারা যান অন্য পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল ইসলাম।

এদিকে ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে আসার পরপরই একই এলাকায় ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা মসজিদ-সংলগ্ন একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ও গুলি চালায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই বাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। বেলা ১১টার দিকে ওই বাড়ি থেকে এক সন্ত্রাসী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বেলা ১২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় র‌্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনী। এর কিছুক্ষণ পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম নূরুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসেন। এর পরই তার নেতৃত্বে শুরু হয় সাঁড়াশি অভিযান।

এক সপ্তাহ আগে জঙ্গিদের অবস্থান : গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা সপ্তাহখানেক আগেই কিশোরগঞ্জে আসে। হামলাকারীদের মূল টার্গেট ছিলেন শোলাকিয়া মাঠের ইমাম। কিন্তু এর আগে চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের মুখোমুখি হয়ে গেলে কোনো উপায় না দেখে হামলাকারীরা ওখানেই হামলা শুরু করে দেয়। পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর আটক এক সন্ত্রাসী পুলিশকে জানায়, তারা পাঁচজনের একটি দল ২৭ জুন এ অপারেশন চালাতে কিশোরগঞ্জে এসেছে। তবে কার নির্দেশে তারা হামলা করেছে তা এখনো জানা যায়নি।

ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন জঙ্গি : ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা করে। তারা বোমা নিক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে চাপাতি দিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তারা পুলিশ সদস্যদের জখম করে। পুলিশ গুলি চালালে তারাও দ্রুততার সঙ্গে পাল্টা গুলি ছোড়ে। হামলাকারীরা সবাই যুবক বয়সী। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। তারা মুসল্লিদের সঙ্গে মিশে পুলিশের কাছাকাছি চলে আসে এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিত হামলা চালায়।

বিশেষ পোশাক : পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলার সময় নিহত জঙ্গি আবীরের পরনে যে পোশাক ছিল, সেখানে চাপাতি রাখার বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। নীল রঙের ওই পোশাকের ভিতর বিশেষ কায়দায় চাপাতিজাতীয় অস্ত্র রাখার পকেট ছিল। হামলাকারীর পরনে ছিল নীল রঙের ঢোলা পাঞ্জাবি ও ঢোলা পায়জামা। পায়জামার ভিতর চাপা জিন্সের প্যান্ট পরা ছিল। চাপাতিজাতীয় লম্বা অস্ত্র রাখার জন্য প্যান্টের মধ্যে কোমর থেকে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত বিশেষ পকেট বানানো ছিল। হামলাকারীদের পরিকল্পনা ছিল, হামলার পর পোশাক পরিবর্তন করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া।

রুখে দিয়েছে পুলিশ : রাজধানীর গুলশানের পর শোলাকিয়ায়ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে জীবন বাজি রাখে পুলিশ। আর এ সাহসের কঠিন মূল্য দিয়ে জীবন দিতে হয়েছে দুই পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল হক (৩০) ও আনসারুল হককে (৩৫)। এ দুই পুলিশের প্রাণের বিনিময়ে ব্যর্থ হয়ে গেছে শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের টার্গেট। সন্ত্রাসীরা সফল হলে শোলাকিয়া হয়তো হতে পারত এক মৃত্যুপুরীর নাম। তারা প্রথমে শক্তিশালী হাতবোমা ছোড়ার পরপরই অ্যাকশনে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় দুজন পুলিশ সদস্য নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। নিহত দুই পুলিশ সদস্যকে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দিয়ে।

এ ঘটনায় মূলত সন্ত্রাসীরা নিজেদের ছক কাটা মিশন সফল করতে পারেনি। আটক দুর্বৃত্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বেরিয়ে আসবে। তবে পুলিশের ধারণা, দেশীয় সন্ত্রাসী বা জঙ্গিরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

নিজ ঘরে গুলিবিদ্ধ ঝরনা : কিশোরগঞ্জ শহরের চর শোলাকিয়া সবুজবাগ এলাকার ভৌমিক নিবাসে কান্নার রোল বয়ে যাচ্ছে। ঈদের দিন জঙ্গি হামলার সময় এ বাড়ির গৃহিণী ঝরনা রানী ভৌমিক নিজ ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী হলেও এ পরিবারটি অসাম্প্রদায়িক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। প্রতি বছর ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে নিজ বাড়ির সামনে জগ ও গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন এ পরিবারের শিশু ও পুরুষ সদস্যরা। তৃষ্ণার্ত মুসল্লিদের পানি পান করিয়েই তারা তৃপ্তি পান। এবারও তেমনটিই করছিলেন তারা। অন্যদিকে ঈদের আনন্দ নিজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করার জন্য রুটি ও সেমাই রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন সনাতন ধর্মের অনুসারী ঝরনা রানী ভৌমিক। ঘড়ির কাঁটায় যখন সকাল পৌনে ৯টা, তখনই ঘটে জঙ্গি হামলার ঘটনা। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালাতে থাকে। একপর্যায়ে ঘরের স্টিলের জানালা ভেদ করে একটি গুলি ঝরনার মাথায় বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তে সয়লাব হয়ে যায় ঘরের মেঝে।

ক্যামেরায় দুই জঙ্গির অ্যাকশন দৃশ্য : শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার সময় দুই জঙ্গির অ্যাকশনের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনাস্থলের পাশে ১৬৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি পাঁচতলা বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ছিল। এতে হামলার দৃশ্য ধারণ করা আছে। ঘটনার পর পুলিশ, র‌্যাব ও সংবাদকর্মীরা এ ফুটেজ সংগ্রহ করেন।

ফুটেজে ধারণকৃত দৃশ্যে দেখা যায়, দুই জঙ্গির মধ্যে একজনের হাতে একটি পিস্তল ও বোমা। তার পরনে ছাই রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি ও মাথায় টুপি ছিল। নীল রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত অন্য যুবকের হাতে একটি পিস্তল ও একটি চাপাতি ছিল। অস্ত্র নিয়ে তাদের দৌড়াতে এবং হামলা করতে দেখা যায়। দৃশ্যে পুলিশকেও পাল্টা হামলা করতে দেখা যায়। কয়েকজন পথচারীকেও দৌড়াতে দেখা গেছে ফুটেজে। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নীল রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত যুবক নিহত হন। তার নাম আবীর রহমান। অন্যদিকে ছাই রঙের পায়জামা-পাঞ্জাবি পরিহিত যুবক আহত অবস্থায় ধরা পড়েন। তার নাম সাইফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ওরফে মুত্তাদিল (২৭)। তার বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ গ্রামে।

কনস্টেবল আনসারুলের বাড়িতে ঈদ পরিণত হলো শোকে : ঈদের জামাত শুরুর আগে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের কাছে বোমা হামলায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল আনসারুল হকের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায়। ত্রিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলুতপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আনসারুল। সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধ মা রাবেয়া খাতুন ছেলের কথা বলে বলে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্ত্রী লুনা আক্তারও বারবার বেহুঁশ হয়ে পড়েন। আর থেকে থেকে স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি এখন কার কাছে যাব! কার কাছে থাকব!’ এভাবেই ঈদের দিন পুরো বাড়িতে সকাল থেকে চলে শোকের মাতম।

সন্ধ্যার পর পুলিশ সদস্যরা দৌলতপুরে নিজ গ্রামে আনসারুলের লাশ নিয়ে পৌঁছান। পুরো বাড়িতে শত শত লোক ভিড় জমিয়েছেন আনসারুলের লাশ এক নজর দেখতে। মিলনবাজার ঈদগাহ মাঠে সম্পন্ন হয় তার দ্বিতীয় জানাজা। পারিবারিক গোরস্থানে আনসারুলের লাশ সমাহিত করা হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খান আবু নাসেরসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার ও বাইরে থেকে আসা অসংখ্য মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। জানা যায়, মৃত সিদ্দিকুর রহমানের চার ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আতিক একটি দুর্ঘটনায় কয়েক বছর আগে মারা যান। এরপর আতিকের দুই ছেলে, মা আর দুই ভাইকে দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে আনসারুলের ওপর। ২০০৬ সালে আনসারুল পুলিশে যোগ দেন। এরপর কেন্দুয়া উপজেলার পাচাহার কোনাপাড়া গ্রামে বিয়ে করেন। মৃত্যুর সময় নিঃসন্তান ছিলেন আনসারুল।

ফুলবাড়ি : শুক্রবার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখোলা ইউনিয়নের ভাটিপাড়া বালাশর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় অনবরত বিলাপ আর চোখের জল বুকে ফেলে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম তপুর (২৪) মা রোকেয়া খাতুন। তিনি কোনভাবেই মেনে নেতে পারছেন না ছেলের অকাল প্রয়াণ। মৃত্যুর প্রথম দু’দিন তিনি কিছুই মুখে তুলতে পারেননি। তপুর মা রোকেয়া খাতুনের পাশেই বসা ছিলেন বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন। নীরব কান্নায় তারও চোখ ছল ছল করছিল।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তপুর নিজ গ্রামে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) হারুন অর রশিদ, ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রিফাত খান রাজিব, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাদীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেন। জানাযা শেষে বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় পুলিশের এই বীর সেনাকে। এ সময় গোটা এলাকায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

হামলাকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র : কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে গোলাগুলির মধ্যে নিহত হামলাকারী যুবক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবীর রহমান (২২)। তিনি চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আবীরের বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম। বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। ঢাকায় তাদের বাসা ভাটারা থানা এলাকায়। আবীরের বড় ভাই আশিকুর রহমান গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখে তাকে শনাক্ত করেন। মার্চ থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে তার বাবা ঈদের আগের দিন ঢাকার ভাটারা থানায় একটি জিডি করেছেন বলে ওই থানার ওসি নুরুল মোত্তাকিন জানিয়েছেন।

ওসি নুরুল মোত্তাকিন বলেন, ৬ জুলাই আবীরের বাবা সিরাজুল ইসলাম ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করেন। ১ মার্চ থেকে আবীর নিখোঁজ ছিলেন বলে তিনি জানান। এতদিন পরে জিডি করার কারণ জিজ্ঞেস করেছিলেন বলে জানান ওসি। জবাবে সিরাজুল ইসলাম পুলিশকে বলেছেন, ‘বিদেশে যাওয়া নিয়ে রাগ করে ছেলে বাসা থেকে বেরিয়েছিল। ও মালয়েশিয়ায় যেতে চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, দুই ভাই অস্ট্রেলিয়ায় থাকে সেখানে যাও। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির পর বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। ভেবেছিলাম, মালয়েশিয়ায় গেছে। নিজেই ফিরে আসবে। কিন্তু গুলশানে হামলার পর মনে সন্দেহ হওয়ায় থানায় এসেছি।’ ২২ বছর বয়সী আবীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারীদের একজন নিবরাস ইসলামও ঢাকার এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনিও কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছর জেল
রাজসাক্ষী মামুনের পাঁচ বছর জেল
বাংলাদেশে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না
ব্যাংকলুটের টাকায় নাশকতা
ব্যাংকলুটের টাকায় নাশকতা
আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ রাখবে ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ রাখবে ভারত
আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে
আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
সর্বশেষ খবর
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘মুখোমুখি’ আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো
ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘মুখোমুখি’ আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো

৫৩ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে ইসির সংলাপ বুধবার
বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে ইসির সংলাপ বুধবার

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর উপায়
ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর উপায়

১৯ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

'রাশিয়ার ড্রোন হামলা মোকাবিলায় সক্ষম নয় ইউরোপ'
'রাশিয়ার ড্রোন হামলা মোকাবিলায় সক্ষম নয় ইউরোপ'

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

৩৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের তাপমাত্রা আগামী সপ্তাহ থেকে ক্রমশ কমবে
দেশের তাপমাত্রা আগামী সপ্তাহ থেকে ক্রমশ কমবে

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ
মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ

৪৬ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ার ড্রোন হামলা ঠেকানোর মতো সক্ষমতা ইউরোপের নেই : ইইউ
রাশিয়ার ড্রোন হামলা ঠেকানোর মতো সক্ষমতা ইউরোপের নেই : ইইউ

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেসব উপকার পেতে খাবেন আনারস
যেসব উপকার পেতে খাবেন আনারস

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের ভাই গ্রেফতার
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের ভাই গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস
সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেভাবে সামাজিক বাধা ভাঙছে ইরানের মেয়েরা
যেভাবে সামাজিক বাধা ভাঙছে ইরানের মেয়েরা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন সফররত নাগরিকদের সতর্ক করল জাপান
চীন সফররত নাগরিকদের সতর্ক করল জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্ষণ মামলায় রনদীর গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলায় রনদীর গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল কারাগারে নির্যাতনে ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েল কারাগারে নির্যাতনে ৯৮ ফিলিস্তিনি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'হাসিনার রায় কার্যকর করার জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষা করছে'
'হাসিনার রায় কার্যকর করার জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষা করছে'

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ছেলের হাতুড়ির আঘাতে মায়ের মৃত্যু
ছেলের হাতুড়ির আঘাতে মায়ের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত
গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ