শিরোনাম
সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আশরাফ সম্মানীয় কাদের ডায়নামিক

মাহমুদ আজহার

আশরাফ সম্মানীয় কাদের ডায়নামিক

ড. এস এম এ ফায়েজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দুজনই ভালো লোক। সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। নতুন যিনি সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনিও অত্যন্ত ডায়নামিক। তাকে একজন গতিশীল ব্যক্তি হিসেবেই মনে করে সবাই। এ ছাড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে যারা আগে থেকেই ছিলেন বা নতুনভাবেএসেছেন তারাও সম্মানীয়, সজ্জন ব্যক্তি। কমিটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি।’ দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর এ কমিটি নিয়ে টেলিফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য। নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে। আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী পুরনো দল। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। তারা সবকিছুই উদারভাবে দেখবে। সবাইকে সম্পৃক্ত করে চলবে। বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দেবে। সত্যিকার অর্থে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে সব দলের প্রতি উদার ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হওয়াও জরুরি। যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকারে আছে, তাই তাদের কাছে দেশবাসীর এই দাবি থাকবে। সত্যিকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য যা যা দরকার, আওয়ামী লীগ তাই করবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানতেন, নতুন নেতৃত্বে কারা আসছে। গ্রেইজফুলি জানতেন। তবে নতুন কমিটিতে সবাই পরিচিত লোকজন। প্রেসিডিয়ামে যারা নতুন আসছেন, তারা সবাই ইমেজসম্পন্ন। ভালো লোক। আশরাফ স্বপদে থাকলেন না। সৈয়দ আশরাফ মনে হয় উদারভাবেই বিষয়টিকে দেখেছেন। এটাই তার একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এ নিয়ে তিনি ক্ষোভ-বিক্ষোভ করবেন বলে মনে হয় না। তিনি এখনো কোনো নেতিবাচক হয়েছেন বলেও মনে হয় না। হয় তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সৈয়দ আশরাফ নিজেও ছিলেন।’ নতুন কমিটির মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে যে কমিটি যেভাবে ছিল, এটাও সেভাবেই প্রায়। এখানে নেতিবাচকভাবে দেখার সুযোগ নেই। হয় তো প্রধানমন্ত্রী মনে করেছেন, এত দিন একভাবে চলছিল, এখন এভাবে চললে ভালো হবে। তাই করেছেন। সৈয়দ আশরাফ নিজেও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঠিকই আছে। এই কমিটি নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ মনে হয় নেই।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাছে আগেও এই প্রত্যাশা ছিল। এখন সেই প্রত্যাশা আরও বেশি। যেহেতু দলটি নতুন কমিটি দিয়েছে, জনগণের প্রত্যাশা যেন পূরণ হয়, সেদিকে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের দৃষ্টি দিতে হবে। নতুন কমিটি যেন পূরণ করে, সেই প্রত্যাশাই রইল। দেশের জন্য মঙ্গল চাই। তারাও চান। আওয়ামী লীগের কাছে সবসময় জনগণের প্রত্যাশা ছিল, তারা নতুন কমিটি দিয়েছে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে তারা আরও গতিশীল হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণকে সামনে রেখে গণতন্ত্রকে ধারণ করে আরও অগ্রসর হবে।’

সর্বশেষ খবর