সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
জেলা পরিষদ নির্বাচন

আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬১ জেলার মধ্যে ২২ জেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ৩৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২৪ জন প্রার্থী। এরমধ্যে অধিকাংশ জেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্দলীয় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চূড়ান্ত লড়াই হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে। এ ছাড়া কিছু জেলায় অন্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন। আজ প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা। গতকাল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন বলে জানান নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান। তিনি জানান, তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ১৪৬ জন। এর মধ্যে ২২ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন একক প্রার্থীরা। আদালতের কোনো নির্দেশনা থাকলে সে বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় ব?্যবস্থা নেবেন। বাকি ৩৯ জেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ১২৪ জন। নির্দলীয় এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের এক প্রার্থীরা ২২ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন। আরও কয়েকটি জেলায় আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় একাধিক প্রার্থী যোগ হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন নারায়ণঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আবদুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আবদুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, কুষ্টিয়ায় রবিউল ইসলাম, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আবদুস সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা। সাধারণ সদস্য পদে ২৯৮৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। সাধারণ সদস্য ১৩৯ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আজ প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে শুরু হবে প্রচারণা। আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদে প্রথমবারের মতো ভোট হবে। এই নির্বাচনে সরাসরি ভোট হবে না। জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নিজ নিজ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচন করবেন। প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকবেন। জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ভোট চলবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার হবেন। জেলা পরিষদে মোট ভোটার রয়েছেন ৬৩ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন ও নারী ১৪ হাজার ৮০০ জন।

লড়াই আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগ : গাইবান্ধায় লড়াই হবে দলীয় সমর্থন পাওয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস উল আলম হিরুর সঙ্গে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মোজাম্মেল হক মণ্ডল, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা খাদেমুল ইসলাম খুদি, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আমিনুল ইসলাম দুদু ও আতাউর রহমানের সঙ্গে। চেয়ারম্যান পদে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও সাধারণ সদস্য পদে দুজন প্রত্যাহার করে নেন। জামালপুরে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দল সমর্থিত প্রার্থী এইচ আর জাহিদ আনোয়ার, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, সহসভাপতি সোহরাব হোসেন বাবুল, যুগ্মসম্পাদক অ্যাডভোকেট সরওয়ার জাহান, ফারুক আহমেদ চৌধুরীর সহধর্মিণী আঞ্জুমান আরা বেগম ও জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) প্রার্থী অ্যাডভোকেট বাবর আলী। গতকাল অন্য দুজন প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি আতিকুর রহমান ছানা ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এ ছাড়াও ৪ জন সদস্য তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র হুমায়ুন কবির রুমানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। অপর দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন গতকাল। লালমনিরহাটে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের সঙ্গে দলের বিদ্রোহীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম পাটোয়ারি ভোলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব। গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল হক তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। মাদারীপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মিয়াজউদ্দিন খানের সঙ্গে লড়াই হবে বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুচিত চ্যাটার্জি বাপ্পি এবং মাদারীপুর বিএমএ সভাপতি ডা. আবদুল বারী।  মাগুড়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মাগুরায় ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর কেউই প্রত্যাহার করেনি। ফলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে দল সমর্থিত প্রার্থীকে। নোয়াখালীতে দল সমর্থিত প্রার্থী ডা. এ বি এম জাফর উল্যাহকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ফখরুল ইসলাম মন্টু, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফর উল্যাহ ও মোশারফ হোসেনকে। চুয়াডাঙ্গায় দলের সমর্থন পেয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু। তাকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন খোকন, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুন অর রশিদকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে দলীয় সমর্থিত প্রার্থী মঈনুদ্দিন মণ্ডলকে এবার তার দলের বিদ্রোহী বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম বাচ্চু এবং সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান তোতাকে। এছাড়াও বিএনপির সাবেক নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মো. আবদুল ওয়াহেদ এবং জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আলাউদ্দিন টিপু চেয়ারম্যানপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেহেরপুরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় একজনসহ বিদ্রোহী ৪ জনও সতন্ত্র একজন প্রার্থী এবার ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, দলের তিন বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সহিদুজ্জামান খোকন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহবুব জামান ভুলুকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার। শরীয়তপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার ও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক সভাপতি আবদুর রব মুন্সি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি রেজাউল রহিম লাল ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী হিসেবে রয়েছেন ভূমিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর মেয়ে মাহজাবিন শিরিন পিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন ও সদ্য বিদায়ী জেলা পরিষদ প্রশাসক সাইদুল হক চুন্নু। অন্যান্য জেলায়ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন একই দলের প্রার্থীরা।

সুনামগঞ্জে দল সমর্থিত প্রার্থী হলেন ব্যারিস্টার এনামুল করিব ইমন, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা মুকুট, কর্মজীবী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী চঞ্চলা রানী দাস ও মুক্তিযোদ্ধা আহবাব হোসেন চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া দল সমর্থিত প্রার্থী হলেন প্রবীণ রাজনীতিক জেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এ কে এম এমদাদুল বারী। বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সফিকুল আলম এমএসসি।  পিরোজপুরে দল সমর্থিত প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম। দলের বিদ্রোহী হলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ এবং ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মাসুদ। অপর প্রার্থী মশিউর রহমান মহারাজ গতকাল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুনসুর আহমেদ। নির্বাচনে তাকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে দলের জেলা সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামকে। নরসিংদীতে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নরসিংদী জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। অন্য দিকে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঁইয়া। তারা দুজনই নির্বাচনী মাঠে থাকছেন। মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমান। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মোহাম্মদ আবদুর রহিম শহীদ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহাবউদ্দিন সাবুল। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সুহেল আহমদ। পটুয়াখালী দলের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা খান মোশারফ হোসেনকে মোকাবিলা করতে হবে দলের বিদ্রোহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর ও জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সিকদারকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর