জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা পুনঃতদন্তের বিষয়টি আগে নিষ্পত্তি না করায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন এই মামলার প্রধান আসামি ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ন্যায়বিচার পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনে তার আইনজীবীরা বিচারকের প্রতি এই অনাস্থাজ্ঞাপন করেন। গতকাল ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে দুই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গিয়ে খালেদা জিয়া ওই আবেদন করেন। এ মামলায় আদালত আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেছে। তবে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার আইনজীবীরা সময় চেয়ে আবেদন করলে ওই মামলার শুনানির দিনও ৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করে আদালত।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেয় আদালত। একই সঙ্গে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তার আবেদনটিও আদালত নাকচ করে দিয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত হন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী আজ (বৃহস্পতিবার) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানি শুরু হয়। শুনানির আগেই আমরা আদালতকে জানিয়েছি, পুনঃতদন্তের বিষয়টি আগে নিষ্পত্তি করা হোক। আদালত আবেদনটি গ্রহণ না করে আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপরই শুনানি করতে চায়। যদি আত্মপক্ষ শুনানি শুরু হয়ে যায়, তাহলে মামলা পুনঃতদন্তের বিষয়টির আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। তাহলে তো মামলা শেষই হয়ে যাবে। আর এ কারণেই ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছি আমরা।’দুই পক্ষের আইনজীবীদের তুমুল হট্টগোলের মধ্য দিয়ে গতকাল বিকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চায় ‘তিনি (খালেদা জিয়া) দোষী না নির্দোষ?’ সে সময় তিনি আদালতের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেন, তার আইনজীবীরা আদালতের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনিও আদালতের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছেন। দুপুরের বিরতির পর আদালত আইনজীবীদের অনাস্থা জানিয়ে করা আবেদন নাকচ করে দেয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনায় আদালত। ওই সময় তার আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন।