বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক টেস্ট শুরু আজ

মেজবাহ্-উল-হক

বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক টেস্ট শুরু আজ

প্রথম দিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের একমাত্র টেস্ট ম্যাচের সিরিজটি আয়োজন করতে চায়নি হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু কলকাতার আগ্রহ দেখে পরে তারা সুযোগটি হাতছাড়া করতে চায়নি। এই এক ম্যাচের আয়োজন করেই যে রেকর্ডবুকের অনন্য এক অধ্যায়ে জায়গা করে নেবে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম। ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ বলে কথা! বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলছে। দুই দেশের ক্রিকেট ইতিহাসেই টেস্ট ম্যাচটি আলাদা জায়গা করে নেবে। বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর সেই ২০০০ সালে প্রথম ভারতের বিরুদ্ধে এক টেস্টের সিরিজের ম্যাচে অংশ নিয়েছিল। দীর্ঘ ১৭ বছর  পর এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) অনুযায়ী ভারতের মাটিতে সেই ম্যাচটি খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। মাঝে আরও ৭টি টেস্ট খেলেছে দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে। তবে সবই হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। সে কারণেই এই হায়দরাবাদ টেস্টটি হয়ে গেছে ঐতিহাসিক টেস্ট! শক্তির কথা চিন্তা করলে টেস্টের এক নম্বর দলটি খেলবে ৯ নম্বর দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু বৈচিত্র্যের টেস্ট ক্রিকেট বলেই হয়তো অনেক সময় র‌্যাঙ্কিংও গৌণ হয়ে যায়। পাঁচ দিনের খেলা। ১৫ সেশনের খেলা। যে দল প্রতিটি সেশন ধরে ধরে খেলবে তারাই সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই বলেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, ‘ভারত ভালো দল। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে। দলগত পারফরম্যান্সের দিকেই আমাদের লক্ষ্য থাকবে। প্রতিটি সেশন ধরে আমরা ভালো খেলতে চাই।’ বাংলাদেশকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা নয় ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির। তার দল এখন এমনই ফর্মে রয়েছে যে, টেস্টের বাঘা বাঘা দলগুলোকেও উড়িয়ে দিয়েছে। আগের সিরিজে তারা ইংল্যান্ডকেই ৪-০-তে উড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও বাংলাদেশকে সমীহ করেই কথা বলেছেন তিনি। ভারতীয় অধিনায়ক মুশফিকদের হুমকি না দিয়ে বরং পাশে দাঁড়িয়েছেন। কোহলি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের স্কিল আছে। কিন্তু টেস্টে একটা ভালো দল হতে যে পরিমাণ আত্মবিশ্বাস লাগে, সে পরিমাণ ম্যাচ খেলার সুযোগই তো তারা পায়নি। তারপরও টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে।’

সর্বশেষ খবর