শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত চারজন

প্রতিদিন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া ও বাগেরহাটে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, বুধবার রাতে বিজয়নগরের খেতাবাড়ী ও মেরাসানী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক বন্দুক যুদ্ধে দুজন  নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের এসআইসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতদের একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও আরেকজন আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার। নিহতরা হলেন উপজেলর চান্দুরা ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার বুলবুল মিয়া ওরফে বুইল্লা (৪০) এবং একই উপজেলার নলগড়িয়া গ্রামের আলফাজ আলীর ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম নুরু (৪২)। পুলিশ জানায়, রাত ১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খেতাবাড়ী নামক স্থানে টহলরত গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধ হয়। এতে আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার বুলবুল হক ওরফে বুইল্লা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ সময় অন্য ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এখানে ডিবি পুলিশের এসআইসহ পাঁচজন আহত হন। আহতরা হলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. ইউনুস, এএসআই আলী আহম্মদ, কনস্টেবল মোবারক, ওমর ফারুক ও মহসীন। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। খেতাবাড়ী এলাকার ঘটনা সম্পর্কে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, রাত ১টার দিকে একদল ডাকাত সড়ক (ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক) ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে খেতাবাড়ী এলাকায় গেলে ডাকাত দল পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা ব্যক্তি নিজেকে বুলবুল বলে পরিচয় দেয়। এদিকে মাদক ব্যবসায়ী নুরুকে আটকের পর ভোররাতে তাকে নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে সীমান্ত এলাকায় গেলে আক্রমণের শিকার হয় পুলিশ। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছোড়ে। পরে গুলিতে আহত অবস্থায় নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, চার রাউন্ড কার্তুজ, চারটি ছুরি, তিনটি রামদা ও ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আহত হন বিজয়নগর থানার এসআই মো. সালামত, মো. মহিউদ্দিন, মো. জালাল, কনস্টেবল মো. সাইফুল ও মো. নুরুজ্জামান। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও জানান, নিহতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় পাঁচটি করে মামলা আছে।

বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত : বগুড়া প্রতিবেদক জানান, শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আমিজুল ওরফে আল আমিন রনি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি— রনি নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান। এ ঘটনায় অস্ত্রগুলিসহ ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, আমিজুলের নেতৃত্বে কয়েকজন জেএমবি সদস্য বগুড়ার শেরপুরে ভবনাপুর এলাকায় টহল পুলিশের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়, এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় আমিজুলকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল ২ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে। আমিজুলের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকায় বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক বনদস্যু নিহত : বাগেরহাট ও শরণখোলা প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুখপাড়ার চর এলাকায় র‌্যাব-৮-এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১ বনদস্যু নিহত হয়েছেন। এ সময়ে র‌্যাব ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। গতকাল সকালে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত বনদস্যু শামসু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার বেল্লাল মীর ওরফে কানা বেল্লাল বলে র‌্যাব নিশ্চিত করেছে।

র‌্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবীর জানান, সুন্দরবনে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে র‌্যাব-৮-এর একটি দল শরণখোলা রেঞ্জের ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময়ে বনের ভিতর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে র‌্যাবের টহল টিম সেখানে অভিযান শুরু করলে বনদস্যুরা গুলিবর্ষণ করে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের পর বনের ভিতর থেকে গুলির শব্দ থেমে গেলে র‌্যাব ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। এ সময়ে এক বনদস্যুর গুলি বিদ্ধ লাশ, ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৭৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে সুন্দরবনের জেলেরা লাশটি বনদস্যু শামসু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বেল্লাল মীর ওরফে কানা বেল্লাল বলে শনাক্ত করে।

সর্বশেষ খবর