বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে উপাচার্য অধ্যাপকের ছড়াছড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটিগুলো গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ৬/৭টি উপকমিটির খসড়া দলীয় সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির খসড়া কেন্দ্রে জমা পড়েছে। এ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্থান পেয়েছেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন কমিটিতে। ৩৪ সদস্যের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির খসড়া তালিকার নিচে কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল খালেক ও সদস্য সচিব আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহারের (চাঁপা) স্বাক্ষর রয়েছে। যে চারজন উপাচার্য কমিটিতে সদস্য পদে স্থান পেয়েছেন, তারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন। কমিটিতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষক হলেন, অধ্যাপক ড. জাকিয়া পারভীন, অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক ড. এ জেড এম শফিউল আলম ভূইয়া ও  ড. কে এম সালাহউদ্দিন। কমিটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক মো. নুরুল্লাহ, অধ্যাপক আবুল কাসেম, অধ্যাপক ড. পিএম শফিকুল ইসলাম এবং ড. নাসিমা খাতুন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক প্রিয়ব্রত পাল রয়েছেন  কমিটিতে।  এ ছাড়া কমিটিতে সাবেক অধ্যাপক, ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও নেতারা স্থান পেয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, প্রচার ও প্রকাশনা,  শিক্ষা ও মানবসম্পদসহ ৬/৭টি উপকমিটির খসড়া কেন্দ্রে জমা পড়ছে। কিন্তু এখনো সেগুলোর অনুমোদন হয়নি। প্রচার উপকমিটি অনুমোদন না পেলেও তারা দুই একটি মিটিং করেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এসব উপকমিটি অনুমোদন দেওয়ার বিধান আছে। তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিটি উপকমিটি হবে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট। এতে তিনজন করে সহসম্পাদক থাকবেন। কেবল প্রচার ও দফতর উপকমিটিতে পাঁচজন করে সহসম্পাদক নেওয়ার নির্দেশনা আছে। তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রী উপকমিটিগুলোয় সংশ্লিষ্ট পেশাদার লোকদের রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।   আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় উপকমিটি গঠনের বিধান রয়েছে। এতে দলীয় সভাপতিমণ্ডলী বা উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যকে আহ্বায়ক এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সম্পাদক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

সর্বশেষ খবর