রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

আইনজীবীদের অসদাচরণ কাম্য নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনজীবীদের অসদাচরণ কাম্য নয়

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আইন পেশায় জ্ঞান ও মেধা দিয়ে মক্কেলদের সহযোগিতা করতে হবে। এজন্য বেশি বেশি জ্ঞানচর্চা করা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে আইনজীবীদের কাছ থেকে পেশাগত অসদাচরণমূলক ব্যবহার কখনই কাম্য নয়। গতকাল রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত নতুন আইনজীবীদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ-সংক্রান্ত আইনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। প্রধান বিচারপতি বলেন, বার (আইনজীবী সমিতি) ও বেঞ্চ (আদালত) একে অন্যের সম্পূরক। তাদের কার্যক্রমে ভিন্নতা থাকলেও হাতে হাত রেখে একসঙ্গে পথ চলতে হবে। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ আইনজীবীরা করবেন না বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। অনুষ্ঠানে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল বার কউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইন পেশায় যুক্ত হওয়া আইনজীবীদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, বার কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, বার কাউন্সিলের রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু। অনুষ্ঠানে বক্তারা আইনজীবী হিসেবে নুতন তালিকাভুক্তদের প্রতি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। তাদের পেশাগত আচরণ কেমন হওয়া উচিত এসব বিষয়ও উঠে এসেছে বক্তাদের বক্তৃতায়। আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বিচারপতি নিয়োগের আইন প্রণয়ন করতে সরকার সম্পূর্ণ একমত। শুধু আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি নয়, খসড়াও প্রায় তৈরি হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে পারব। অবসরের পর আইনজীবীদের বেনেভোলেন্ট ফান্ডের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বার কাউন্সিলে একটি বেনেভোলেন্ট ফান্ড রয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। আইনজীবীদের দীর্ঘদিনের দাবি, এ ফান্ডে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হোক। আমরা ৪০ কোটি টাকা দেওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল বার কউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইন পেশায় যুক্ত তিন হাজারের বেশি আইনজীবীর মধ্যে সনদ প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ খবর