মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে বলেছেন, ‘ফেরত নেওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ে আরও সময় লাগবে।’ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও রোহিঙ্গা ফেরত নিয়ে মিয়ানমারের গড়িমসির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে গত শুক্রবার রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দেওয়া
এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর : বিডিনিউজ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্বে থাকা উইন আয়ে ১১ এপ্রিল ঢাকা আসছেন। সফরে তিনি কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে যাবেন বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উইন আয়ে বলেন, ‘শরণার্থীদের পূরণ করা ফরম চুক্তির আলোকে পূরণ না হওয়ায় এখানে জটিলতা তৈরি হয়েছে। যদি প্রক্রিয়াটি চুক্তি অনুসরণে চলে, যদি ফরমটি চুক্তির আলোকে পূরণ হয়, তবে তো দেরি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এটা সেই পথে হচ্ছে না। যদি শরণার্থীরা চুক্তি অনুযায়ী ফরমটি পূরণ করে, তবে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুততর হতে পারে।’ গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকার যে ৮ হাজার ৩২ জনের তালিকা দিয়েছিল, তার মধ্যে ৫০০ মুসলিম রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাইয়ের কথা জানান মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ত থু। এ ছাড়া আরও ৪০০ হিন্দু শরণার্থীকে যাচাই করে নিশ্চিত করেছে তারা। এই দেরি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উইন আয়ে বলেন, ‘আমি তো আগেই বলেছি, শরণার্থীরা ফরমটি চুক্তির আলোকে পূরণ করছে না। ফলে আমাদের যাচাইয়ে সময় লাগছে।’ যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশকে একটি তালিকা পাঠিয়ে এখনো কোনো সাড়া পাননি বলে দাবি করেন মিয়ানমারের এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের ফেরত আনা আমাদের দায়িত্ব।’ আসন্ন ঢাকা সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শরণার্থীদের এই সমস্যায় দুটি দেশই ভুগছে। শরণার্থী প্রত্যাবাসনে দুই পক্ষই সম্মত। এখন কীভাবে প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নেওয়া যায়, সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, সফরে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’