জিয়া পরিবারে এখন ‘দুর্দিন’ উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, এমন দুর্দিন আগেও ছিল। সেটা আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এখন শুধু জিয়া পরিবার বা বিএনপিরই দুর্দিন নয় দেশে একটা জাতীয় সংকট চলছে। আমি মনে করি, দল হিসেবে বিএনপি দুর্বল নয়। তবে এ দলটি কখনই নেতা-কর্মীবান্ধব ছিল না, সাধারণ জনগণের দল। এখনো আছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোটে ক্ষমতার পরিবর্তন হলে এই সংকট থাকবে না। বিএনপি আরও গতিশীল হয়ে উঠবে। ৪১ বছরে পা রাখা বিএনপি আজ কোথায়—এমন প্রশ্নে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবী এমাজউদ্দীন আহমদ এই মূল্যায়ন করেন। ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বিএনপি যখন জন্ম লাভ করে, ওই সময় বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার সঙ্গে মশিয়ুর রহমান যাদু মিয়া ও কাজী জাফর আহমদের মতো স্বনামধন্য লোকেরা ছিলেন। তখন কিন্তু দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এরশাদ ক্ষমতা দখলের আগমুহূর্তে বিএনপির জন্য একটি কঠিন সময় আসে। ওই সময় গৃহবধূ বেগম জিয়া দলের হাল ধরলেন। তার ওই সময় রাজনীতি সম্পর্কে অত জ্ঞান ছিল না। তিনি বলেন, ’১৯৮১-’৮২-এর তুলনায় এখন বিএনপির অবস্থান অনেক শক্তিশালী ও ভালো। ওই সময় বেগম জিয়াকে অনেকটা জোর করেই নেতৃত্বে আনা হয়। এতে কোনো ভুল হয়নি। বেগম জিয়া আস্তে আস্তে দলকে সবচেয়ে জনপ্রিয় দলে পরিণত করেন। সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ভালোভাবেই দল পরিচালনা করলেন। ’৯১-এ তার নেতৃত্বে বিএনপির বিজয় হলো। তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় নেত্রী হয়ে উঠলেন। এখনো তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। অবশ্য ওয়ান ইলেভেনে বিএনপির ওপর দিয়ে ব্যাপক ধকল যায়। ওই সময় থেকেই রাজনীতি চরম পর্যায়ে কলুষিত হতে থাকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে পরে বিএনপিকে আবারও খাদের কিনারে নিয়ে যাওয়া হয়। দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলাসহ নানা নির্যাতন চালানো হয়। এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। তারপরও বিএনপি আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এখন যে সংকট তা শুধু বিএনপিরই নয়, জাতীয় পর্যায়ের সংকট। ব্যারিস্টার মওদুদের মতো নেতা বাড়ি গেলে চারপাশে পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। বিএনপিকে সভা-সমাবেশ ঠিকমতো করতে দেওয়া হয় না। রাষ্ট্র, সরকার ও দল আলাদা বিষয় হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সবগুলোকে একাকার করে ফেলেছে। এতে সরকার ও রাষ্ট্র কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও আজ ভয়াবহ। সবকিছুই এখন নিয়ন্ত্রণহীন। এসব সুশাসনের জন্য বাধা।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ‘জিয়া পরিবারের এখন দুর্দিন। কিন্তু এই দুর্দিন আরও বেশি ছিল শহীদ জিয়াকে মেরে ফেলার পর এরশাদ ক্ষমতা দখলের সময়। তখন গৃহিণী ছিলেন বেগম জিয়া। তখনকার অবস্থার চেয়ে এখনকার অবস্থা ভালো বলেই আমি মনে করি। যদিও বেগম জিয়া এখন জেলখানায়। নির্জন কারাগারে একমাত্র বন্দী হিসেবে রাখা হয়েছে ৭২ ঊর্ধ্ব বেগম জিয়াকে। তাকে দেখা সাক্ষাতেরও সীমিত সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে যদি সুষ্ঠু ভোট হয় জনগণ সঠিকভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাহলে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। এতে ভাঙাচোরা বিএনপি আরও গতিশীল হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
শিরোনাম
- রাজশাহীতে মাদকসহ ৬ কারবারি গ্রেপ্তার
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১০৪৫ মামলা
- ৪৮ ঘন্টার জন্য দেশের জ্বালানি কূপগুলোতে ড্রিলিং কার্যক্রম বন্ধ
- হবিগঞ্জে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
- শেখ হাসিনা-রেহানার মামলার যুক্তিতর্ক ২৫ নভেম্বর
- রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
- বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬ দেশ
- বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ট্রেন আটকে রাখল শিক্ষার্থীরা
- সব ধরনের কাউন্টার সেবা বন্ধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- শীতের দিনেও ব্যায়াম, যা খেয়াল রাখা জরুরি
- প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
- মুখে বলিরেখা সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
- বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
- শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটিই থামিয়েছি: ট্রাম্প
- নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান
- হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
দুর্দিন কাটিয়ে ওঠা এখনো সম্ভব : এমাজউদ্দীন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর