বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, যতই ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা ও অপলাপ করা হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে এবার বিদায় নিতেই হবে। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে গড়িমসি চলবে না। জনগণের ভোট জনগণের দেওয়ার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ এবার আর হতে দেবে না।
গতকাল সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন রিজভী আহমেদ। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তার দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুবিচারে নয়, সরকারের প্রতিহিংসামূলক বিচারে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন বারবার বাধাগ্রস্ত করছে সরকার। একের পর এক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও ফের তা নানা কায়দায় আটকে দিচ্ছে সরকার।
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতের ওপর নির্ভর করছে। এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিএনপির সরকার পদত্যাগের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। সেটিও গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। শনিবারের জনসভায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগমেই প্রমাণিত হয়েছে, জনগণ এই সরকারকে আর চায় না।
রিজভী সরকারের উদ্দেশে বলেন, জালিয়াতির মেশিন ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নীলনকশা বন্ধ করুন। পৃথিবীর অন্যান্য স্বল্পসংখ্যক দেশে যারা ইভিএম চালু করেছিল, তারাও এ পদ্ধতি নিষিদ্ধ করেছে। অথচ সব প্রতিবাদ উপেক্ষা করে কেন এই গণবিরোধী সরকার ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট করতে চায়, সেটি এখন জনগণ টের পেয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী যখন সন্দেহপ্রবণ এই মাধ্যম বন্ধ করে দিচ্ছে, তখন বাংলাদেশের ভোটারবিহীন সরকার এই মেশিন চালু করতে এত উৎসাহী কেন, তা এখন দেশবাসীর কাছে সুস্পষ্ট। শুভংকরের ফাঁক দিয়ে সরকার বাজিমাত করতে চায়। তবে তাদের এই দুরভিসন্ধি জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে।
‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, সরকার এর বাইরে যাবে না।’ ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে এবার আওয়ামী লীগ পার পাবে না। বিএনপি ‘আন্দোলনে ব্যর্থ বিরোধী দল।’ আওয়ামী লীগ সম্পাদকের এই বক্তব্যের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের আন্দোলন পৃথিবীর কোথাও ব্যর্থ হয়নি, আমরাও ব্যর্থ হব না। যে দাবি আদায়ের জন্য আমাদের আন্দোলন চলছে, তাতে আমরা ব্যর্থ হব না, আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়বই। সফল হবই ইনশাআল্লাহ।
