শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কাজ করছে একঝাঁক নতুন প্রার্থী আওয়ামী লীগে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাজ করছে একঝাঁক নতুন প্রার্থী আওয়ামী লীগে

শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম। তাকে ঘিরে ইতিবাচক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে এলাকায়। এ আসনের বর্তমান এমপি বয়োবৃদ্ধ কর্নেল (অব.) শওকত আলী আগামী নির্বাচনে স্বাস্থ্যগত কারণে অংশ নিতে পারবেন না ধরে নিয়েই এনামুল হক শামীমের মতো একজন দক্ষ সংগঠককে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। একইভাবে ফেনী-১ আসনে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আকতার। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করেন, জোটের প্রার্থী থাকায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তেমন মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। সে কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে তারুণ্যের প্রতীক ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে এমপি হিসেবে দেখতে চান তারা। চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার আলাদা প্রভাব ও অবস্থান রয়েছে। মাগুরা-১ আসনে গত সাড়ে নয় বছর ধরে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে সবার মুখে মুখে সাইফুজ্জামান শিখরের নাম। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে এলাকায় উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে নিজের সক্ষমতা ও সম্ভাবনা জানান দিয়েছেন তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিলে এই আসনে আওয়ামী লীগের জয়লাভ সহজ হবে বলেই এলাকায় আলোচনা আছে।

ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসনে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার নাম। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নিয়মিত সামাজিক কর্মকাণ্ড করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন তিনি। পেশাজীবী দোলনই হতে পারেন ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং ভোটারদের ইতিবাচক পরিবর্তনের হাতিয়ার। তৃণমূলে এটিই এখন জোর আলোচনা। এ আসনে তরুণ প্রার্থী হিসেবে আরও আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি লিয়াকত সিকদার। তিনিও এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। কেবল এনামুল হক শামীম, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, সাইফুজ্জামান শিখর, আরিফুর রহমান দোলন বা লিয়াকত সিকদারই নন, এমন অর্ধশত তরুণ প্রার্থী এলাকায় জোর সম্ভাবনা জাগিয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের ভোট টানতে তাদের অনেকেই এবার দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাবা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হয়ে প্রচারণায় অংশ নিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। যুক্তরাজ্য থেকে আইনে স্নাতক নওফেল বাবার পথ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। বর্তমানে তিনি দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রয়াত হওয়ায় চট্টগ্রাম-৯ আসনে তাকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা। আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন দীর্ঘদিন ধরে সাতকানিয়া-লোহাগড়ার মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে আছেন। এলাকার উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন দলের কেন্দ্রীয় এই নেতা। আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ আসনে তাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে চাইছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। গাজীপুর-৩ আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট রহমত আলী বয়সে রোগে ন্যুব্জ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে মনে করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সেক্ষেত্রে পারিবারিক কারণে এগিয়ে রয়েছেন তার ছেলে জামিল হাসান দুর্জয়। পিতার পাশাপাশি তিনি এলাকার নেতা-কর্মী ও জনগণের সঙ্গে কাজ করছেন। এ আসনে আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ। তারা দুজনই সম্ভাবনাময় প্রার্থী। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তাই মনে করছেন। গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় আছেন। বছরের পর বছর সময় দিয়ে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে নিজের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন। এলাকার উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও তিনি গ্রহণযোগ্য অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। সব মিলিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগের জয় সহজ হবে বলে অনেকে মনে করেন। সর্বশেষ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের হয়ে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন। তাকে খুলনা-৩ আসন থেকে দলের প্রার্থী হিসেবে চাইছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। সাবেক ছাত্রনেতা শফি আহমেদ দীর্ঘদিন ধরেই নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনের মানুষের পাশে আছেন। ২০০৭ সালে বাতিল হওয়া নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থেকেও তিনি বঞ্চিত হন। তাই বলে পিছিয়ে না থেকে এলাকায় নিয়মিত সময় দিচ্ছেন তিনি। এবার মনোনয়ন দৌড়ে তিনি শক্তভাবেই আছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সমর্থকরা এমনটাই মনে করেন। ঝালকাঠি-১ আসনে নানা কারণে বিতর্কিত বর্তমান এমপি বি এইচ হারুন মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন বলে মনে করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের সম্পাদক নারী নেত্রী ফাতিনাজ ফিরোজ। তিনি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান ঝালকাঠি আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য প্রয়াত শিক্ষাবিদ ড. এম এ হান্নান ফিরোজের সহধর্মিণী। তার সমর্থিত নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নের অন্যতম দাবিদার ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বিশ্বস্ত হান্নান ফিরোজ। তার মৃত্যুর পর এ আসনে তার স্ত্রী ফাতিনাজ ফিরোজ মনোনয়ন লাভের জন্য রাজাপুর-কাঁঠালিয়া চষে বেড়াচ্ছেন। দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্যদের সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরছেন।  শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয়রা। এলাকার উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলায় সোহাগের নাম এখন মানুষের মুখে মুখে। আগামী নির্বাচনে তাকে নৌকার প্রার্থী করা হলে তিনি দলের সম্পদ হবেন বলে মনে করছেন অনেকেই। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান প্রার্থী হতে চাইছেন। তিনি এ আসনের চমক হতে পারেন। বর্তমান সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হয়ে কারাগারে রয়েছেন। টাঙ্গাইল-৬ আসনে তরুণ প্রার্থী হিসেবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন সাবেক ছাত্রনেতা তারেক শামস হিমু। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য। নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ করে চলেছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামান। এ আসনে এবার দলের তৃণমূলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে মশিউজ্জামান খান রুমেল। তিনি এলাকায় গণসংযোগ করে চলেছেন। পিরোজপুর-২ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিয়মিত এলাকায় সময় দিচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে তিনি সুপরিচিত। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে প্রার্থী করা হলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত মনে করছেন দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তকে ঘিরে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে এলাকাবাসী। ভিসি পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর ডা. প্রাণ গোপাল স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের এই সহ-সভাপতি আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চান।  নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সমর্থকদের নিবিড় সম্পর্ক। সময় পেলেই হাতিয়ার গ্রাম থেকে গ্রামে চষে বেড়ান তিনি। আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী বেগম আয়েশা ফেরদাউস। তার স্ত্রী নির্বাচন না করলে তিনিই এ আসনের আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থী বলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন।  সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের পুত্র আজিজুস সামাদ ডন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন পাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ মান্নানের কাছে অল্প ভোটে পরাজিত হন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে নিজের অপরিহার্যতা জানান দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী হলে জয়লাভ সহজ হতে পারে বলে অনেকের ধারণা। সিলেট-৬ আসনে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরোয়ার হোসেন। সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এ ছাড়া নেত্রকোনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, নেত্রকোনা-৩ আসনে অসীম কুমার উকিল, নেত্রকোনা-২ আসনে চিত্রনায়ক রানা হামিদ ও শামসুর রহমান ভিপি লিটন, ময়মনসিংহ-৩ আসনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, ঢাকা-৮ আসনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ঢাকা-২ আসনে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকা-৫ আসনের বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে মশিউর রহমান সজল, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-১ আসনে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ, পাবনা-১ আসনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, নীলফামারী-৪ আসনে নাফিউল করিম নাফা, রংপুর-৫ আসনে জাকির হোসেন সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহতাব উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে যুবলীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছবে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, বর্তমান সংসদের অনেকেই নানাভাবে বিতর্কিত। টিআর, কাবিখা, জিআর থেকে অর্থ নেওয়া, নৈশপ্রহরী এবং পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ থেকে টাকা নেওয়ায় সাধারণ মানুষের তোপের মুখে আছেন তারা। এলাকায় নিয়মিত যেতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তরুণরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আওয়ামী লীগকে দীর্ঘ সময় সেবা দিতে পারবেন। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।

সর্বশেষ খবর