বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

শিক্ষক কোনো দলের কর্মচারী হতে পারেন না

জুলকার নাইন

শিক্ষক কোনো দলের কর্মচারী হতে পারেন না

সৈয়দ আবুল মকসুদ

জীবিকার জন্য কেউ শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করলেও শিক্ষকতা অন্য পেশাগুলোর মতো নয়। ব্যক্তি হিসেবে একজন শিক্ষক কোনো না কোনো দলের সমর্থক হতেই পারেন। কিন্তু পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তার দলীয় পরিচয় প্রকাশ হওয়া একেবারেই অনুচিত। ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন দল-মতের সমর্থক আছে, সুতরাং তাকে দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে থাকতেই হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো না কোনো দল ক্ষমতায় থাকবে, দলীয় সরকারই তাকে নিয়োগ দেবে। তার অর্থ এই নয় যে, একজন উপাচার্য বা উপ-উপাচার্য সেই দলের কর্মচারী। আসলে কোনো শিক্ষক কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মচারী হতে পারেন না। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নৈতিকতার দিক থেকে দেখতে গেলে, একজন উপাচার্য প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। তারপর তিনি তার প্রতিষ্ঠানের দল-মত নির্বিশেষে সব ছাত্রের অভিভাবক। তার ছাত্রদের সম্পর্কে  কটূক্তি করা নৈতিকতার দিক থেকেও আপত্তিকর। তাছাড়া যখন কোনো কারণে একজন উপাচার্যের পতদ্যাগ দাবি করে তার প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্ররা, তখন তার স্বেচ্ছায় সরে যাওয়াই উৎকৃষ্ট পথ। বর্তমানে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা এতটা দলীয় ক্যাডারের মতো  আচরণ করেন যে, তাতে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্র অসন্তোষ চলছে তার জন্য সংশ্লিষ্ট উপাচার্যরাই দায়ী। তারা দলীয় লোক হয়েও দলীয় সরকারের ক্ষতি করছেন। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন। উপাচার্যদের এ জাতীয় দলীয়পনা থেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরত রাখার চেষ্টা করা অবশ্য কর্তব্য।

সর্বশেষ খবর