ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় পিবিআই ঢাকার ফকিরাপুল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মকসুদুর আলম, চট্টগ্রাম থেকে জাবেদ হোসেন ও গতকাল সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে অধ্যক্ষের একান্ত সহযোগী শিবির নেতা ও মাদ্রাসা ছাত্র নূর উদ্দিনকে আটক করেছে। পিবিআইর ইন্সপেক্টর মো. মোনায়েম জানান, শুক্রবার পৌর কাউন্সিলর মকসুদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে তোলা হয়। আগামী সোমবার তার রিমান্ড শুনানি হবে বলে রাতে আদালত জানিয়েছে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর ইন্সপেক্টর শাহআলম জানান, নুসরাত হত্যাকারীদের ধরতে পিবিআই সেন্ট্রালি তদারকি করছে। আসামিদের ধরতে ও প্রকৃত খুনিদের বের করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ৮ জন। এ পর্যন্ত পুলিশ ও পিবিআই এজাহারভুক্ত ৬ আসামিসহ ১২জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে ৭দিন ও বাকি ৮জনকে ৫দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। বর্তমানে রিমান্ডে থাকা আসামিরা হচ্ছে, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, আলাউদ্দিন, নূর হোসেন, শহিদুল আলম, কেফায়েত উল্যাহ, মাদ্রাসার প্রভাষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফ, অধ্যক্ষের শ্যালিকার মেয়ে পপি ও জোবায়ের আহম্মেদ। এখনো এজহারভুক্ত আসামি শাহাদাত হোসেন শামীম, হাফেজ আব্দুল কাদের গ্রেফতার হয়নি। মাকসুদকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি : ফেনী প্রতিনিধি জানান, রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলমকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়। মাকসুদ সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।