শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই হবে

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এবার হজযাত্রীদের সৌদি আরবে গিয়ে ইমিগ্রেশনের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। এ বছর বাংলাদেশেই সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। ফলে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষার বিড়ম্বনা লাঘব হবে। গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ কথা বলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ সফররত সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে উভয় পক্ষ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সৌদি আরবের পরিবর্তে বাংলাদেশে সম্পন্ন করার বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পারস্পরিক সর্বাত্মক সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনকার নিয়মে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন করেন। এবারের হজেও একই নিয়মে তারা হজ ক্যাম্প ও শাহজালালে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন। এরপর উভয় বিমানের হজযাত্রীদের শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি এক্সক্লুসিভ জোনে নিয়ে যাওয়া হবে। সৌদি আরবের জেদ্দায় যে ইমিগ্রেশনের কাজ হতো, তা ওই এক্সক্লুসিভ জোনেই সম্পন্ন করা হবে। সৌদি আরবের নিয়োজিত টেকনিক্যাল টিমের হাতে এক্সক্লুসিভ জোনের সব কার্যক্রম থাকবে। দুই ধাপের ইমিগ্রেশন শেষ করে হজযাত্রীরা ফ্লাইটে উঠবেন। সৌদি আরবে পৌঁছে আর ইমিগ্রেশনের ঝামেলা থাকবে না।

তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঠিকঠাক সম্পাদনের লক্ষ্যে এবার হজ ভিসার জন্য দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আগেই দেশের আট বিভাগে প্রত্যেক হজযাত্রীর ১০ আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হবে। আশা করি, এবার আর হজযাত্রীদের কোনো অসুবিধার মুখোমুখি হতে হবে না। অন্যবারের থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে এবার বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। তারা কষ্ট পাবেন- এটা আমরা কিছুতেই হতে দেব না। ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান জানান, শুধু হজের ডেডিকেটেড ফ্লাইটের যাত্রীরা ঢাকায় সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন করতে পারবেন। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে গেলে বা শিডিউল ফ্লাইটে যারা হজ করতে যাবেন তারা এই সুবিধা পাবেন না। সময় হাতে রেখেই শাহজালাল বিমানবন্দরের এক্সক্লুসিভ জোনে সৌদির ইমিগ্রেশন শেষ করা হবে যাতে ফ্লাইট বিলম্ব না হয়। ধর্মসচিব বলেন, আটটি বিভাগীয় শহরের ডিসি অফিসে আঙুলের ছাপ সংগ্রহের জন্য বিশেষ কর্নার খোলা হবে। সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা সেখানে দায়িত্ব পালন করবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট পবিত্র হজ হতে পারে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। অন্যদের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং হাবের প্রতিনিধিরা এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর