ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, ইউনানি এবং আয়ুর্বেদিক মিলিয়ে মোট ৮৫০টি ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। তবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ কোম্পানিই এখনো ১৯৭৫ সালের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ‘জিএমপি’ (গুড ম্যানুফেকচারিং প্র্যাকটিস) গাইড লাইন অনুসরণ করে না। তিনি বলেন, অর্ধ শতাব্দী আগের এই গাইড লাইনই যদি আমরা মানতে না পারি তাহলে কখন পারব? ওষুধ মানহীন হলে তা নিয়মমাফিক যত্ন করে খেলেও তাতে কোনো কাজ হবে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। আ ব ম ফারুক বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটি দেশে ৮৫০টি ওষুধ কোম্পানি। অথচ সমগ্র ইউরোপেও এত ওষুধ কোম্পানি নেই। যদিও আমাদের বেশিরভাগ কোম্পানিই কুঠির শিল্পের মতো। তাদের পক্ষে তো অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোন বানানো সম্ভব না। অনেকের মেশিনই নেই। তবুও তারা ওষুধ তৈরি করছে। এক প্রশ্নের জবাবে এই ওষুধ প্রযুক্তিবিদ বলেন, একটা বিষয় আমার মাথায় আসে না কেন এত ওষুধ কোম্পানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। যেখানে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তরা বলেন, তাদের সক্ষমতা নেই। লজিস্টিক সাপোর্টেরও অনেক অভাব। তা হলে কীভাবে অনুমোদন পাচ্ছে কোম্পানিগুলো? কাদের মাধ্যমে আসছে অনুমোদন? মনে রাখবেন যুগের পর যুগ এর ফল ভোগ করতে হবে এদেশের জনগণকে।